ডোমারে একটি চুরি মামলায় নিরপরাধ ব্যাক্তিদের ফাঁসানোর অভিযোগ

প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:২৫ পিএম

নীলফামারীর ডোমার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে একটি চুরি মামলায় নিরপরাধ মানুষকে জড়িয়ে মামলা করার ঘটনা টক অব দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে। ওই মামলার বাদী প্রকৃত চোরকে ধরে ১জনকে আসামি করে মামলা করা হলেও আসামি করা হয়েছে নিরপরাধ মানুষসহ ৭জন। এ ঘটনায় বাদী ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অভিযোগ করেন।

সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ডোমার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে কলেজ পাড়া গ্রামের স্কুল শিক্ষক রবিউল ইসলামের বাড়িতে গত ১০ জানুয়ারী রাতে ওই এলাকার মোজাফফর রহমানের ছেলে আতিকুর রহমান আতিক চুরি করতে গিয়ে গ্রামের লোকজনের হাতে ধরা পড়ে। পরদিন ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জুয়েল রহমান ও মহিলা কাউন্সিলর শাহানাজ বেগমের মাধ্যমে চোরকে থানা পুলিশে সোপর্দ করে। মামলায় আসামি করা হয় ৭জন। মামলার বাদী বলেন, চোর ধরলাম একজন। মামলায় আসামি করা হলো ৭জন। আমি নিজেই জানিনা।

এলাকার লোকজন জানান, দু'টি পক্ষের দ্বন্দ্বের কারনে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিরীহ মানুষদের আসামি করা হয়েছে। মামলার অপর আসামি কলেজ পাড়া গ্রামের হরিপদ রায়ের ছেলে বন্ধন রায় ও নিতাই রায়ের ছেলে অমল রায় তারা দু'জনেই দিনমজুরের কাজ করেন। সাইদ হোসেনের ছেলে হৃদয় ইসলাম একজন থাই মিস্ত্রি। রাজু ইসলামের ছেলে রেজওয়ান একজন কাঁচা মাল ব্যবসায়ী। মৃত জামাল হোসেনের ছেলে বরকত ইসলাম ভাটা শ্রমিক এবং সদর ইউনিয়নের ছায়াপাড়া গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে নয়ন ইসলাম একজন বিদ্যুৎ মিস্ত্রি।

মামলায় ৭জন আসামির বিষয়টি গত ২২ জানুয়ারী ডোমার থানা পুলিশের ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি নীলফামারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম এর কাছে উন্মুক্ত আলোচনায় অভিযোগ করেন মামলার বাদী রবিউল ইসলাম নিজেই।

এ বিষয়ে ওই গ্রামের পঞ্চানন রায় জানান,রাত সাড়ে তিনটার দিকে কম্বল দেয়ার কথা বলে আমার নাতি অমল রায়কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় একই গ্রামের শাহাদাত হোসেন, বেলাল হোসেন ও মনোয়ার হোসেন। পরে তাকে মারধর করে এ মামলায় আসামি করা হয়। একই কথা বলেন হৃদয় ইসলামের বাবা আবু সাইদ ও রেজওয়ানের দাদু আলতাফ হোসেন। তাদেরকেও কম্বল দেয়ার কথা বলে ভোর রাতে ডেকে নিয়ে যায় তারা। কলেজ পাড়া লায়ন সংঘের সভাপতি ফারুক হোসেন বলেন, আমাদের এলাকা শান্তি প্রিয়। মামলায় মিথ্যা যাদের নাম দেয়া হয়েছে তাদের নাম প্রত্যাহার করা হোক।

বাংলাদেশ ক্ষত্রিয় সমিতির সাবেক সভাপতি গোড়াচাঁদ অধিকারী বলেন, যেহেতু এ গ্রামে আমার বাড়ি। আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি চোর একাই চুরি করতে যায়। অথচ আসামি করা হয় ৭জনকে। গ্রুপিংয়ের কারনে দলাদলি করে এলাকার শান্তি বিনষ্ট করছে। কাউন্সিলররা এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এটা দুঃখজনক। এতে এলাকার ক্ষতি হবে।

ডোমার পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মনছুরুল ইসলাম দানু বলেন, যারা এটা করেছে ঠিক করেনি। বিষয়টি পুলিশ সুপার অবগত রয়েছেন। ডোমার থানার ওসি মাহমুদ উন নবী বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: