এমপি হাসপাতালে গিয়ে দেখলেন কোনো চিকিৎসক নেই

প্রকাশিত: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৫৫ এএম

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। হঠাৎ করেই আজ বিকেলে রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি পরিদর্শনে যান। তিনি সেখানে গিয়ে দেখতে পান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তালা ঝুঁলছে। নেই কোনো চিকিৎসক, কর্মচারী। শুধু ২ জন নার্স দায়িত্ব পালন করছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবেশ নোংরা, আবর্জনা আর বাথরুমে যাওয়ার মতো কোনো পরিবেশ নেই। এ ভাবে প্রায় এক ঘন্টা দাড়িয়ে থাকার পর লোকজনের মাধ্যমে খবর দিয়ে ডেকে আনা হয় চিকিৎসক-কর্মচারীদের।

প্রত্যক্ষদর্শী জনপ্রতিনিধিরা বলেন, হঠাৎ করেই আজ সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিদর্শনে আসেন। হাসপাতালে গিয়ে দেখেন গেইটে তালা ঝুঁলছে। প্রতিটি কক্ষে তালা মেরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাড়ি চলে গেছেন। প্রায় এক ঘন্টা দাড়িয়ে থাকার পর দ্রুত ছুটে আসেন চিকিৎসক ও কর্মচারীরা। পরে তিনি সকলকে সঙ্গে নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন।

কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফারজানা ইসলাম জানান, ৩ টার দিকে হাসপাতাল থেকে বাসায় গিয়েছিলেন তিনি। কিছু সময় পরে সংসদ সদস্য আসার খবর পেয়ে ছুটে আসেন তিনি। হাসপাতালে কোনো পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেই। একজন মাস্টারোলের কর্মচারী দিয়ে কাজ করা হয়। তারা সর্বাত্বকভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। তবে কেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নেই এ বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।

বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘কালুখালী হাসপাতালে কোনো রোগী আসলে তাদেরকে চিকিৎসা সেবা প্রদান না করেই রিফার্ড করা হয়। হাসপাতাল নোংরা, বাথরুম ব্যবহার অনুপযোগী, দায়িত্ব পালন করে না চিকিৎসক ও কর্মচারীরা। এ ধরণের অভিযোগ পেয়ে আজ বিকেলে পরিদর্শনে আসি। এসে দেখি হাসপাতালে ২জন নার্স ছাড়া আর কেউ নেই। নোংরা পরিবেশ রয়েছে। পরে তাদের সঙ্গে বসে কথা বলেছি। তারা অঙ্গিকার করেছেন ভবিষ্যতে এ ধরণের অভিযোগ পেলে ও দায়িত্ব পালন করতে না দেখলে যা শাস্তি হবে তা মাথা পেতে নেবেন। তাদেরকে প্রথমবার ক্ষমা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এভাবে আবারও পরিদর্শন করে স্বাস্থ্য সেবার মান যাচাই করা হবে।

পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল মোরশেদ আরুজ, রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিমের সহ-ধর্মিনী সাহিদা হাকিম, কালুখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলিউজ্জামান চৌধুরী টিটো, রাজবাড়ী জেলা পরিষদ সদস্য গোবিন্দ কুন্ডু, পাংশা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বিশ্বাস, রতনদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসিনা পারভীন নিলুফা, নবাবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীরসহ আরও অনেকে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: