‘আমার কাছে হিরো আলমই এমপি’

প্রকাশিত: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:২০ এএম

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের একতারা প্রতীকে সবার কাছে ভোট চেয়েছেন নন্দীগ্রাম পুরাতন বাজারের চায়ের দোকানী সাইফুল ইসলাম। শুধু তাই না যারা ভোট দিতে চেয়েছেন তাদের ফ্রিতে চা, বিস্কুট, পান, সিগারেটও খাওয়ান।

তিনি বলেন, হিরো আলম এমপি হলে পরের দিন তার দোকানের চা খাওয়া সম্পূর্ণ ফ্রি। নির্বাচন এর শুরু থেকে সে এইভাবে মানুষের কাছে ভোট চায়। নন্দীগ্রাম দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম ও তার ছেলে পাপ্পু দুইজন মিলে এ দোকান চালায় এবং তা থেকে যা উপার্জন হয় তা দিয়েই তাদের সংসার চলে।

এ বিষয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি হিরো আলমের একজন ভক্ত। আমি তাকে ভালোবাসি তার সাথে আমার কোন যোগাযোগ না থাকার পরেও তার জন্য ভোট চাই। আমি কমপক্ষে দুই থেকে আড়াইশ মানুষকে ফ্রিতে চা, পান, বিস্কুট, সিগারেট খাওয়াছি। সগলির কাছে তার জন্যে ভোট ও দোয়া চাছি। আমি সবাক কছুনু আমার হিরো আলম এমপি হলে সগলিক মাংনা চা খাওয়ামু। মানষে কচ্চে হিরো আলম এমপি হছিলো। আমারও তাই মনে হয়। আমার কাছে হিরো আলমই এমপি।’

এদিকে বগুড়ার ৪ ও ৬ আসনে নির্বাচনে পরাজয়ের পর বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সদরের এরুলিয়ায় তার নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে হিরো আলম ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে বগুড়া-৪ এবং ৬ আসনের উপনির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। তার ভাষ্য, ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু দেখেছি। কিন্তু ফলাফলের জায়গায় গণ্ডগোল করেছে, ভোটের ফলাফল পাল্টে দিয়েছে। তিনি ফলাফলের বিরুদ্ধে আদালতে রিট করার কথাও বলেন।

উল্লেখ্য, বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনে ১১২টি কেন্দ্রে ৩ লাখ ২৮ হাজার ২৬৯ জন ভোটার ছিল। বুধবার ১ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ৭৮ হাজার ৫২৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

এ নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোট প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (মশাল প্রতীক) ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম (একতারা প্রতীক) পান ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: