অতিথি পাখিদের মিলনমেলা অপরুপ সৌন্দর্য বরগুনায়

প্রকাশিত: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৩:৪৩ পিএম

বরগুনা পৌর শহরের হাসপাতাল পিছনে, জেলা কারাগারের সামনের ফসলি মাঠে ঝাঁকেঝাঁকে উড়ে বেড়াচ্ছে শত শত অতিথি পাখি। দেখে মনে হবে পাখিদের মেলা।অদ্ভুত সুন্দর পাখিগুলোর অস্বাভাবিক ইংরেজি নাম 'ওপেনবিল' এবং বৈজ্ঞানিক নাম দিয়েছে অ্যানাস্টোমাস অসিটান, যার অর্থ 'ইয়ানিং মাউথ। খাবারের সন্ধানে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে আসা এই অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে মাঠের চারদিক। মাঠের এ দৃশ্য যেনো এখন নিত্যদিনের সৌন্দর্য।

সবুজ শ্যামলে জীববৈচিত্রে ভরা এই ফসলি মাঠে হঠাৎ করে শীতের আগমনে ফসলের জমিতে হাজার হাজার পাখি সহ নানা জাতের পাখির মেলা বসেছে। দলবেঁধে আসা এসব পাখিডানার শব্দ আর কলতানে ভোরে ঘুমভাঙে স্থানীয়দের। স্থানীয়দের অতিথেয়তার ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি মেলবন্ধন যেন এক অঘোষিত পাখির অভয়াশ্রম।

স্থানীয়রা জানায়, পাখিগুলো শীত প্রধান দেশে টিকতে না পেরে প্রতি বছর শীতে অতিথি হিসেবে এখানে আশ্রয় নেয়। এরপর বসন্তে উত্তরে উড়াল দেয়। আমাদের এ মাঠে পুরো ধানের চাষাবাদ চলছে এমত অবস্থায় খাবার সংগ্রহ সহ এমন নিরাপদ আবাসস্থলে পানকৌড়ি, চাপাখি, টুনটুনি, বেনেবউ, হাঁড়িচাচা, দোয়েল, শালিক, রাতচরা, কানাবক, সাদাবক, ধূসরবক, মাছরাঙ্গাসহ নাম না জানা অনেক পাখির আনা গোনা চলে নিত্যদিন।

সরেজমিনে দেখা যায়, গণপূর্ত বিভাগের শতাধিক একরের সরকারি জলায়তন ফসলি জমিতে হাজার হাজার অতিথি পাখি জলকেলিতে মেতে উঠে। তাদের ছোটাছুটি আর লুটোপুটি চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। গোধুলির রঙ ডানায় মেখে পাখিগুলো যার যার মত আশ্রয় নেয় আশপাশের গাছগাছালি, বাঁশঝাড় ও কুচুরিপানায়।

বিল পাড়ের বাসিন্দা রুবেল ও জাহিদ বলেন, এলাকার সাংবাদিক, পুলিশ, ডক্টর, নার্স সহ সকল শ্রেনী পেশাজীবির মানুষরা পাখির প্রতি একদম সদয়। এখানে কাউকে পাখি শিকার করতে দেওয়া হয় না। তাই পাখি শিকার করতে এখানে আর কেউ আসে না।

সাংবাদিক প্রকৃতি প্রেমী সোহেল হাফিজ বলেন, পাখি নিরাপত্তায় জনসচেতনাতা সৃষ্টি করে, পাখি শিকার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ, পাখি শিকার করলে জেল-জরিমানা করা হবে প্রচারসহ বিল এলাকা সরকারিভাবে পাখির অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হলে শীত মৌসুমে পাখির ভিড় আরো বাড়বে বলে মনে করে তিনি। এছাড়া এলাকাটি একটি সুস্থ বিনোদনের কেন্দ্রস্থল হতে পারে বলে জানান তিনি।

বরগুনা জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, একসঙ্গে এতো পাখির আনাগোনা দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। পাখিগুলো প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি স্থানীয়দের বিনোদনের খোরাক জোগায়। এবং এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। বিশেষ করে এ বিলে পাখিদের অন্যতম নিরাপদ আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: