সমাবেশের ঘোষণা দিয়ে বিএনপি ঘোড়ার ডিম পেড়েছে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:৫০ পিএম

সমাবেশের ঘোষণা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা ঘোড়ার ডিম পেরেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বিএনপি বড় বড় কর্মসূচি দিয়ে ও বড় বড় সমাবেশের ঘোষণা দিয়ে আসলে ঘোড়ার ডিম পেরেছে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে গিয়ে তাদের কোমর ভেঙে গেছে। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরীর আন্দরকিল্লা চত্বরে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে নিয়ে দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে যে কর্মসূচি পালন করছে তার মূল উদ্দেশ্য দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা। তারা চায় সংবিধান সম্মতভাবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন না হয়ে তাদের পছন্দ মতো ব্যবস্থা অনুযায়ী নির্বাচন করতে। যেন তারা ক্ষমতায় যেতে পারে। ড. হাসান মাহমুদ বলেন, বিএনপি বলেছিল ১০ ডিসেম্বরের পর আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় হবে। ওইদিন থেকে খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলবে। তারেক জিয়া ঢাকায় ফিরবেন। কিন্তু কই? আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে। খালেদা জিয়ার নির্দেশে দেশ চলছে না, তারেক জিয়াও দেশে ফিরতে সাহস করছে না।

আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরো জানান, তারা (বিএনপি) সেই দিন ১০ লাখ মানুষের সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল। আমরা বলেছিলাম ১০ লাখ কেন আরও বেশি মানুষের সমাবেশ করুন, আমরা তাদের বলেছিলাম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার মাঠ বা বিশ্ব ইজতেমা মাঠ এমনকি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করেন। কিন্তু বিএনপি জেদ ধরেছিল নয়াপল্টনে রাস্তার ওপর মহাসমাবেশ করবে। নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের সামনে সমাবেশ হলে ৩০ হাজার মানুষের সমাগম সম্ভব। শেষ পর্যন্ত তারা গোলাপবাগে গরুর মাঠে সমাবেশ করলেন। ওখানে বড় জোর ২৫ হাজার মানুষের সমাগম সম্ভব। তবুও ধরে নিলাম ৪৫ হাজার মানুষের সমাবেশ হয়েছে। এতেই কী তারা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে ধাক্কা দিতে পেরেছে?

হাছান মাহমুদ আরো জানান, জনগণ জানে ওইদিন বিএনপি অফিস তল্লাশি করে কয়েক শত বোমা ও বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র পাওয়া গেছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ১০ ডিসেম্বর ঢাকা নগরীকে অচল করে দিয়ে নাশকতার জোয়ারে ভাসিয়ে দেওয়া। এখন বলতে ইচ্ছে হয় বিএনপি বড় বড় কর্মসূচি দিয়ে ও বড় বড় সমাবেশের ঘোষণা দিয়ে আসলে ঘোড়ার ডিম পেরেছে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে গিয়ে তাদের কোমর ভেঙে গেছে।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দীন আহমেদ চৌধুরী, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য বদিউল আলম প্রমুখ।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: