পরশুরামে আ'লীগের ৭ নেতা কারাগারে

প্রকাশিত: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:৩১ পিএম

ফেনী পরশুরামে উপজেলা সভাপতি কামাল মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরি সাজেলের মধ্যকার সংঘর্ষে আহত উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অনাধি রঞ্জন সাহা হামলার ঘটনায় মেয়র সাহেবের সাত কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ এদের মধ্যে উল্লেখ্য, বিলোনীয়া বন্দর শ্রমিক নেতা ইব্রাহিম, দক্ষিণ কোলাপাড়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান মাসু (মোটা মাসুদ), সলিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম, বেড়াবাড়িয়া গ্রামের মো: ইয়াকুব( ভূট্টু), উত্তর গুথুমা গ্রামের মিজানুর রহমান চৌধুরী, উত্তর গুথুমা গ্রামের জাহিদুল ইসলাম (বাবু), সলিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নান।

শুক্রবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে পরশুরাম মডেল থানার ওসি সাইফুল ইসলাম তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে ঘটনার পর রাতেই বিলোনীয়া বন্দর শ্রমিক নেতা ইব্রাহিমকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে মামলা থাকায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর অভিযান চালিয়ে বাকি ৬জনকে আটক করে পুলিশ।

জানা গেছে, গ্রেফতার ইব্রাহিম গত ২৫ জানুয়ারি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদারের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকি-ধামকির অভিযোগ এনে পরশুরাম মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এ ঘটনার পর কামাল উদ্দিন মজুমদারের পাল্টা ডায়েরিতে নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল ছাড়াও ইব্রাহিমকে অভিযুক্ত করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দলীয় কোন্দলকে কেন্দ্র করে পরশুরাম উপজেলা কামাল উদ্দিন মজুমদার এবং নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে পরস্পরকে নানা বিষয়ে দোষারোপ করেন।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে পৌর শহরের উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে ছিলেন অনাধিরঞ্জন সাহা। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আনোয়ার নামে এক কর্মী তাকে রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আনোয়ার পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে অনাধিরঞ্জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: