জুস পানের পর একই পরিবারের ৮ শিশু রহস্যময় অসুস্থ!

প্রকাশিত: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:২৩ এএম

কক্সবাজারের টেকনাফে জুস পানের পর একই পরিবারের ৮ জন রহস্যময় ভাবে অসুস্থ হয়েছে। এদের বেশিরভাগই শিশু। রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮ টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম সিকদার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তারা বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ও শঙ্কামুক্ত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের আরএমও ডা. আশিকুর রহমান।

অসুস্থরা হলো, পশ্চিম সিকদারপাড়া এলাকার আব্দু রহিমের শিশু কণ্যা নাজমা মনি (৯), মো. রামিম (৭) রানিয়া মনি (৫), রাফিয়া মনি (৩), আবু বক্করের কন্যা সেলিনা আক্তার (২১), নাসিমা আক্তার (১৮), মো. জালালের ছেলে জিসান (৩) মো. জসিমের ছেলে শাওন (২)। এরা সবাই একই পরিবারের।

অসুস্থ কয়েক শিশুর পিতা আব্দু রহিম জানান, বাড়িতে প্রাণ ম্যাংগু জুস নিয়ে বেড়াতে আসেন জনৈক ব্যক্তি। জুস খুলে পান করা মাত্রই শিশুদের সবাই অজ্ঞান হয়ে ঢলে পড়েন। দ্রুত তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়।

আগত জনৈক লোককে আব্দু রহিম সন্দেহ করে বলেন, যারা জুস খেয়েছে তারা অসুস্থ হয়েছে, বাকি দুইজন না খাওয়াতে তারা অসুস্থ হননি। অথচ জুসের মেয়াদও রয়েছে। তাই তিনি আগত মানুষটিকে সন্দেহ করেন। তবে তার নাম জানাননি তিনি। রাতেই হাসপাতালে তাদের জ্ঞান ফিরেছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, বাড়িতে ফিরে বড় ভাই ও অন্যদের সাথে পরামর্শক্রমে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে হ্নীলার জুস বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারী মহিউদ্দিন জানান, প্রাণের জুস আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিক্রি করে আসছি- কখনো কোন অভিযোগ আসেনি। গতকালের এ বিষয়টি প্রকাশ পাবার পর একই চালানের অন্য জুস আমরা এবং আশপাশের অনেকে পান করে দেখেছি, আলহামদুলিল্লাহ কারো কোন সমস্যা হয়নি। মেয়াদোত্তীর্ণ হলে বলতাম, মেয়াদ নেই তাই সমস্যা হয়েছে হয়তো- কিন্তু বিক্রিত এবং স্টকে থাকা জুসের মেয়াদও রয়েছে।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, বিষয়টি অবগত রয়েছি। তবে, ওই দোকানের একই চালানের জুস এলাকার অনেকে খেয়ে দেখেছেন- কিন্তু অন্যদের এ সমস্যা হয়নি। তাই, অসুস্থ হওয়াদের বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আশিকুর রহমান বলেন, জুস পান করে ভর্তি হওয়া শিশুসহ ৮ জনই আশঙ্কামুক্ত। জুস পান করে ফুড পয়জন বা জুসে কোন মিশ্রণ ছিলো বলে ধারণা করেন তিনি। বিষয়টি পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন আরএমও।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: