২৫০ গ্রাম জিলাপি বন্টন নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১০

প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৪:১২ পিএম

‘বিশ জন কৃষি শ্রমিকের দলকে কাজ শেষে খুশি হয়ে পাঁচশত টাকা বকশিস দেন মালিক। সেই টাকায় শ্রমিক দলনেতা মাথাপিছু ২৫০ গ্রাম করে জিলাপি কেনেন। কিন্তু জিলাপির প্যাকেট বন্টন নিয়ে দলনেতার সাথে এক শ্রমিকের কথা কাটাকাটি গড়ায় হাতাহাতি পর্যন্ত। মিমাংসার জন্য বসানো হয় গ্রাম্য সালিশ। রায় বাস্তবায়ন নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে পুনরায় শুরু হয় মারামারি, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। খড়ের গাদায় আগুন দেয়া হয়। আহত হয় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন।’

বুধবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে নাটোরের গুরুদাসপুর পৌরসদরের আনন্দনগর মহল্লায় এমন ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জিলাপি বন্টনকে কেন্দ্র করে দলনেতা খালেকের (৪০) সাথে মোশারফের (২৫) কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি মিমাংসার জন্য সাজেদুর রহমান সাজুর সভাপতিত্বে শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারী) রাতে গ্রাম্য শালিস বসানো হয়।

মিমাংসা বৈঠকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফজলুর রহমান ও সাবেক কাউন্সিলর শাহিদুল ইসলাম সাহেদ, আলহাজ সিদ্দিকুর রহমানসহ উভয়পক্ষের ২ শতাধিক উৎসুক জনতা উপস্থিত ছিলেন। এসময় করোমর্দন করে মিমাংসার রায় বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কলার ধরে টেনে নেয়াকে কেন্দ্র করে মিমাংসা বৈঠকে উভয়পক্ষের মধ্যে শুরু হয় উত্তেজনা, মারামারি, ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া, খড়ের গাদায় আগুন দেয়ার মতো ঘটনা। উভয়পক্ষকে শান্ত করতে পুলিশে খবর দেয়া হয়।

পরে রাত ৯ টার দিকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। খালেক আনন্দনগর মহল্লার খাদেম আলীর ছেলে এবং মোশারফ বার্শেদ ফকিরের ছেলে। ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফজলুর রহমান ফজল জানান, হাতাহাতির ছোট বিষয় মিমাংসার জন্য তার মধ্যস্থতায় শালিস বসেছিলো। রায় বাস্তবায়ন নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পুরনায় হট্টগোল থেকে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। পরে পুলিশ এলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

গুরুদাসপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আব্দুল মালেক (২৫) ও মানিক ফকির (২০) নামের দুপক্ষের দুজনকে। তবে তারা দুজনই আশঙ্কামুক্ত। এতে জাহিদুল, মাহবুব, মালেক, আশিক নামের আরও ৮ জন আহত হলেও তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আহত মালেক জানান, রায় বাস্তবায়ন নিয়ে উত্তেজনার সময় কুদ্দস ফকিরের নির্দেশে দুলাল, বজলার, মানিক, মোশারফ, সাদ্দাম, আলাল তাকে সহ তার
স্বজনদের মারপিট করে।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টতা অস্বিকার করে কুদ্দুস ফকির জানান, মাহবুর, খালেক আশিকের নেতৃত্বে তাদের আক্রমন করে আহত করা হয়েছে। নিজেরা খড়ের গাদায় আগুন দিয়ে তাদের ফাঁসাতে চেয়েছিলো।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মতিন জানান, ঘটনার পর পরই পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। কোন পক্ষই অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: