অঞ্জনাকে আমার থেকে দর্শকরা বেশি মিস করে: মনির খান

আশরাফুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনির খান নিজের সুরেলা কন্ঠে পাগল করেছেন লাখ মানুষকে। বাংলার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পযর্ন্ত কন্ঠ ভাসিয়েছেন তিনি। বিশেষ করে ‘অঞ্জনা’ নামটি শুনলেই এই শিল্পীর নাম মাথায় চলে আসে। অঞ্জনাকে নিয়ে তার গাওয়া অধিকাংশ গান পেয়েছে জনপ্রিয়তা। অঞ্জনা আর মনির খান হয়ে উঠেছিলেন একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে বিডি২৪লাইভের সাথে একান্তে কথা বলেছেন জনপ্রিয় এই সংগীত শিল্পী।
আপনি ও পরিবারের সবাই কেমন আছেন?
** আলহামদুলিল্লাহ, আপনাদের সবার দোয়ায় আমি ও আমার পরিবারের সবাই ভালো আছি।
সম্প্রতি আপনার একাধিক গান মুক্তি পেয়েছে। কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
** আল্লাহর রহমতে খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। এখন বেশি বেশি গান প্রচার হওয়ার কারণ শ্রোতাদের চাহিদা। তারা চাচ্ছে বলেই আমি ভালো কিছু কাজ উপহার দেওয়ার চেষ্টা করছি।
রাজনীতি থেকে সরে আসলেন কেন। কখনো কি আর রাজনীতিতে ফিরবেন?
** বাংলাদেশের মানুষ অল্পতেই অভিমান করে। আমি একটি রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত থাকার কারণে যারা আমার গান শুনতেন সাধারণ মানুষ তারা আমার উপর একটু মনক্ষুন্ন হয়েছিলো। ভক্তরা আমাকে বিষয়টি একাধিকবার জানানোর পর আমি রাজনীতি ছেড়ে আমার শান্তির জায়গা গানের দুনিয়ায় ফিরে এসেছি।
** না রাজনীতিতে ফেরার কোনো সম্ভবনা নাই। কারণ গানের মধ্যেই শান্তি, গানের মধ্যে মানুষের ভালোবাসা সব পাচ্ছি। গানের মানুষ আমাকে একদম আপন করে নিয়েছে তাই আমি আর রাজনীতিতে ফিরবো না। গানের মধ্যে থাকার ইচ্ছে গানের মধ্যে থাকবো।
বিনোদনের মানুষদের রাজনীতিতে অন্তভুক্তি বিষয়টি আপনি কিভাবে দেখেন?
** বিনোদন একেক জন একেক ভাবে উপভোগ করেন। রাজনীতির মাঠে এক বিনোদন আবার আমাদের সংস্কৃতি জগতে এক ধরণের বিনোদন কে কিভাবে নিবে সেটাই আসলে বড় ব্যাপার। আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে প্রথমে দেখতে হবে সবাইতো আমাদের মানুষ। বিনোদনের মানুষ রাজনীতি করতে পারবে না বিষয়টা একদম ঠিক নয়।
** আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে যারা সংস্কৃতি জগতে রয়েছে তাদের অধিকাংশ রাজনীতির সাথে জড়িত। তারা কিন্তু কোনো সমস্যা ফেস করছে না। তারা দেশের জন্য কাজও করেছে পাশাপাশি অভিনয়ও করছে। একমাত্র ব্যাতিক্রম বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ করলে বিএনপি লোক দেখতে পারে না। এটা আসলে নিচু মানসিকতা। এটা অন্য কোনো দেশের নাই।
** রাজনীতি মানে গণতন্ত্র সবার ভিন্ন ভিন্ন মত থাকবে এটাই সাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বিষয়টা ভিন্ন। আপনি বিরোধী দলে থাকলে সরকারি দল গলা চিপে ধরবে। আসলে এটা আমাদের পরিবর্তন করতে হবে। দেখেন আমাদের মমতাজ আপা, আসাদুজ্জামান নূর ভাই রাজনীতি করছে। তারাতো রাজনীতির লোক তাতে কি কিছু হয়েছে। আমি মনে করি বিনোদনের লোক হলেও তার রাজনিতির করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে।
অসহায় মানুষদের জন্য কি কিছু করতে চান?
** আমার তিনটা সংগঠন রয়েছে। লক্ষ্য লক্ষ্য ভক্তরা এখানে সদস্য হয়েছেন। তারা নিরবে অসহায় মানুষের পাশে দাড়াচ্ছে। করোনাকালে খাবার, ঔষধসহ বিভিন্ন জিনিস দিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাড়িয়েছে। এছাড়াও সম্প্রতি দেশের যে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছিলো তখনো তারা অনেক পরিশ্রম করেছে। এতিম বাচ্চাদের জন্য মাসে দুই একবার খাবারের ব্যাবস্থা করে। সব মিলিয়ে তারা সবসময় মানুষের পাশে দাড়ানোর চেষ্টা করছে। আমি সব সময় তাদের বলি তোমরা কাজ করো আল্লাহ দেখছেন। এটা ফেসবুকে প্রচার করার প্রয়োজন নাই। আমি তাদের নিয়ে এভাবেই মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই।
এবারের বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের পরিকল্পনা কি ছিলো? এই দিনে আপনার গানের অঞ্জনাকে কতটা মিস করেন?
** প্রতিবার আমি এই বিশেষ দিনে একটি গান উপহার দেয়। কিন্তু দেশের বাইরে থাকার কারণে এবার সেটা পারিনি। অন্যদিকে আমার বাবা-মা খুব অসুস্থ তাদের অনেক সময় দিয়েছি। স্ত্রী-সন্তানকে সময় দিতে হয়েছে। সব মিলিয়ে এবারের ভালোবাসা দিবসে কোন গান উপহার দিতে পারিনি।
** ভালোবাসা দিবসে আমার প্রত্যাশা সবার সাথে যেমন সম্পর্ক ছিলো সেটা অব্যাহত থাকবে। সবার সাথে সারাজীবন থাকতে চাই। আমি কখনো সময়কে প্রাধান্য দেয়নি সব সময় ভালো কাজ করাকে প্রাধান্য দিয়েছি। সে কারণে ৩০ বছর ধরে মানুষের অন্তরে থাকতে পেরেছি।
** অঞ্জনাকে আমি কতটা মিস করি সেটা বড় কথা না। ভক্তরা তাকে অনেক মিস করে। অঞ্জনাকে নিয়ে ভক্তদের অনেক কৌতুহল রয়েছে। বিষয়টা একান্ত তাদের হয়ে গিয়েছে বলে আমি মনে করি।
বিডি২৪লাইভকে নিয়ে কিছু বলতে চান?
** বিডি২৪লাইভ অনলাইন নিউজ পোর্টালটি সব সময় যেভাবে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করে আসছে সেটা যেন অব্যাহত থাকে। বাংলা ভাষাভাষী যারা দেশের বাইরে থাকে তাদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে সংবাদমাধ্যমটি। এই প্রতিষ্ঠানের সবার জন্য আমার পক্ষ শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: