বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বহিষ্কার

বরগুনার জেলা ছাত্রলীগের এক সহ-সভাপতিকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে বেতাগী উপজেলা ছাত্রলীগ। রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে এই কর্মসূচী পালন করা হয়।
জানা গেছে, শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি রফিকুল ইসলামকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয়া হয়। এর প্রতিবাদে আজ বিকেল ৪ টায় বেতাগীর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করে বেতাগী উপজেলা ছাত্রলীগ। এর আগে বেতাগী সরকারি কলেজ থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও বেতাগী পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক স্থানীয় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। রফিক বেতাগী ছাত্রলীগের প্রাণ। বেতাগী উপজেলা ছাত্রলীগের রাজনীতিতে রফিকের ত্যাগ বর্ণনা করার মত নয়। ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসানকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় রফিক ঘটনাস্থলেই ছিলো না এবং ঘটনার সাথে রফিকের কোন সম্পৃক্ততা নাই। মিথ্যা অভিযোগে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে রফিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মামলায় এখনো ছাত্রলীগ নেতা রফিক দোষী প্রমানিত হয় নাই।
তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সিদ্ধান্তকে আমরা সম্মান জানাই। আপনাদের এমন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত আমাদের ব্যাথিত করেছে। আমাদের তৃণমূল ছাত্রলীগ কর্মীদের আপনাদের কাছে অনুরোধ করতেছি, আপনারা ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করুন। তদন্তে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক নির্দোষ প্রমানিত হবে ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য, গত ১৬ ফেব্রুয়ারী বরগুনার বেতাগী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদ প্রত্যাশী ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান সিকদারকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। এঘটনায় জেরে সাংগাঠনিক নীতিমালা ভঙ্গের দায়ে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি রফিকুল ইসলামকে বহিষ্কার করে কেন্দ্র। এর প্রতিবাদে আজ এই বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করে বেতাগী উপজেলা ছাত্রলীগ।
এবিষয়ে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, আমি মুজিব আদর্শের সৈনিক। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে হয়ে, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া, ভালবাসার সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতি করি। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্তকে আমি সম্মান করি। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সম্মানিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থে আমি মনেকরি সর্বোচ্চ ভালো সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সম্মানিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সিদ্ধান্তের বিষয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই, তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সে সিদ্ধান্তই আমার কাছে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত।
তিনি আরও বলেন, আমি স্থানীয় রাজনীতির ষড়যন্ত্রের শিকার। তবে ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসানকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় আমার কোন সম্পৃক্ততা নাই, এমনকি আমি ঘটনাস্থলেও ছিলাম না। আমি এঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: