বরিশাল-৫ আসন: আ.লীগে নতুন নেতৃত্বের সম্ভাবনা, বিএনপিতে দুই প্রার্থী

প্রকাশিত: ০৫ মার্চ ২০২৩, ০৪:২১ পিএম

আগামী জাতীয় নির্বাচনের এখনও একবছর বাকি থাকলেও বরিশালের রাজনীতিতে এর হাওয়া বইতে শুরু করেছে। বরিশালে আসন্ন দুটি নির্বাচন হওয়ায় এই আমেজটা আরো বেশি ছড়িয়েছে। চলতি বছরের মাঝামাঝি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় প্রতিটি কর্মসূচীতেই নেতৃবৃন্দের বক্তব্যের অধিকাংশ সময় জুরেই থাকে নির্বাচনী নানা বিষয়। তবে হিসেব নিকেশ শুরু হয়নি বরিশাল-৫ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী নিয়ে।

নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে বরিশালের রাজনীতির মাঠে সড়ব হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। নির্বাচন পূর্ববর্তী কোন সংঘাত না থাকলেও চলছে ভোটে অংশগ্রহনের লড়াই। অবশ্য এদিক থেকে বিএনপির চেয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগই এগিয়ে রয়েছে। কেননা বিএনপি শুধুমাত্র সাংগঠনিক কর্মসূচী বৃদ্ধি করা ছাড়া ভোটারদের সাথে সম্পৃক্ত এমন কোন কার্যক্রম এখনও শুরু করতে পারেনি।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় সরকারি উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নসহ নানা সহায়তা নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে পৌছে যাচ্ছেন। প্রায়ই বরিশাল সদর আসনের দশ ইউনিয়নে কিংবা সিটি কর্পোরেশনের ৩০ টি ওয়ার্ডে সরকারে নানা সহায়তা পৌছে দেয়া কিংবা কোননা কোন উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন বা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার উছিলায় জনপ্রতিনিধিরা ভোটারদের নির্বাচনী বার্তা দিচ্ছেন। সেই বার্তায় থাকছে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আবারও আওয়ামী লীগকে ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী করার আহবান।

বিএনপির দল প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরিশাল-৫ (সদর) আসনটি তারাই দখলে রেখেছেন। কখনও সাবেক রাস্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ^াস, কখনও তার ছেলে নাসিম বিশ্বাস, কখনও দলটির বরিশালের প্রভাবশালী নেতা এ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার এ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। এরমধ্যে সরোয়ারই এ আসনটি সংসদ সদস্য হওয়ার মাধ্যমে দখলে রেখেছেন প্রায় দুই যুগ। সেই হিসেবে বিএনপির ঘাটিতে পরিনত হয় এ আসনটি। তবে সদর উপজেলা উন্নয়নে তেমন কোন ভুমিকা রাখতে পারেননি বিএনপির জনপ্রতিনিধিরা। তাই সাধারন মানুষ চেয়েছিলো পরিবর্তন।
২০১৪ সালের জানুয়ারী মাসে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মত এ আসনে বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে আসেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক জনপ্রিয় মেয়র শওকত হোসেন হিরণ। নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি দক্ষিন বাংলার গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত উন্নয়ন বিস্তৃত করেছেন। এরপর এ আসনটি আর আওয়ামীলীগের হাতছাড়া হয়নি। শওকত হোসেন হিরনের অকাল মৃত্যু হলে তার স্ত্রী জেবুন্নেসা আফরোজ আবার নির্বাচিত হন। পরে ২০১৮ সালে প্রার্থী বদল করে দলটি।

জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামিম দলীয় মনোনয়ন নিয়ে বিজয়ী হন। এরপর থেকেই দীর্ঘদিনের বিএনপির দূর্গখ্যাত বরিশাল সদর আসনে বাড়তে থাকে আওয়ামীলীগের কর্মী। সরকারের নানা উন্নয়ন বাস্তবায়নের কারনে বেড়েছে জনসাধারনের আস্থা, কিন্তু বরিশালবাসীর চাওয়া পূর্ণতা পায়নি মেয়র-মন্ত্রী কারো থেকেই! মেয়র এ সংসদীয় আসনের অন্তর্ভুক্ত সিটি কর্পোরেশন এলাকা ছাড়াও সদর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় সরকারের উন্নয়ন পৌছে দেয়ায় রাখতে পারেনি গুরুত্বপূর্ণ কোন ভূমিকা।

আগামী নির্বাচনে বরিশাল ৫ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামিম যে প্রার্থী তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। কিন্তু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি সরকারের উন্নয়ন বাস্তবায়ন করলেও দলের মুলধারার নেতা-কর্মীদের থেকে বিগত চার বছর অনেক দুরে রয়েছেন। শুধুমাত্র কিছু পদ-পদবীহীন নেতাকে উন্নয়ন কাজের সুযোগ করে দিয়ে নিজের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এমনকি দলীয় ও জাতীয় কর্মসূচীতে বিগত চার বছরে তাকে তেমন একটা দেখা যায়নি বলে বরিশাল জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ অভিযোগ তুলেছেন। তাই অনেক সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বরিশাল -৫ আসনে আওয়ামীলীগের নতুন মুখ চাচ্ছেন। এই আসন থেকে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন নেতা।

মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হাসান মাহামুদ বাবু বলেন, আওয়ামীলীগের একজন এমপি বা মন্ত্রীর সকল কার্যক্রম সরকার ও দলের জন্য হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বরিশাল সদর আসনের এমপি তার সকল কর্মসূচি নগরীর ওয়াপদা কলোনির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছেন। যা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তার সাথে দলের পদ-পদবী আছে অথবা সাংগঠনিক সক্রিয় এমন কোন কর্মী নেই। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে একজন মুজিব প্রেমিক, সক্রিয় ও স্থানীয় প্রার্থী দেখতে চান এই মহানগর নেতা। তার মতো অধিকাংশ নেতৃবৃন্দ এমন প্রার্থী চান যার সাথে তৃনমুলের নেতা-কর্মীরা কাজ করে সাচ্ছন্দবোধ করবেন।

আগামী নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়ে বরিশালের উন্নয়নের অংশিদার হতে চান এরমধ্যে বেশ কয়েকজন দীর্ঘবছর থেকেই মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এই আসনে প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম। মহান স্বাধীনতায় অসামান্য অবদান রাখা এই বীর সৈনিক দেশ স্বাধীনে যেমনটা অবদান রেখেছেন, তেমনি জনপ্রতিনিধি হয়েও সাধারন মানুষের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, বরিশালের উন্নয়ন নিয়ে বিশেষ কিছু ভাবনা রয়েছে তার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা মনোনয়ন দিলে সেই ভাবনাগুলোর বাস্তবায়ন ঘটাতে চান।

এছাড়া প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব সাঈদুর রহমান রিন্টু। তিনি বরিশাল সদর উপজেলার টানা দ্বিতীয়বারের মত চেয়ারম্যান ও একাধারে দি-বরিশাল চেম্বার অব কমার্স এর সভাপতি। তিনি বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটের বিলাশবহুল নৌযান সুন্দরবন নেভিগেশনের সত্বাধীকারী। দীর্ঘ ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি ব্যবসায়ীদের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।

সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, এ অঞ্চলের আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক অভিভাবক দলের জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র সহযোগীতায় তিনি সংগঠনের কাজ সুচারুরূপে করে যাচ্ছেন। দলীয় সকল কার্যক্রমে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহন রেখেছেন বলে দাবী করে আরো জানান, ইতোমধ্যে এ আসনে যারা এমপি হয়েছেন তারা বেশিরভাগই এলাকায় থাকেননা। নেত্রীও এমন প্রার্থীকে আগামীতে মনোনীত করবেন বলে আশা করেন তিনি। মনোনয়ন পেলে বিজয়ের মাধ্যমে বরিশাল সদর উপজেলাকে মডেল উপজেলায় রূপান্তর করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন এই নেতা।

এছাড়া বরিশাল সদর আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচনে অংশগ্রহনের প্রস্তুতি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে কাজ করে আসছেন মহানগর আওয়ামীলীগের সদস্য ও গনমাধ্যমকর্মী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এস এম জাকির হোসেন। তিনি একাধারে অসংখ্য সামাজিক ও সেচ্ছাসেবক সংগঠনের পৃষ্টপোষকতাও করে আসছেন। জাকির হোসেন বলেন, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে তাদের সমর্থন নিয়েই আমি নির্বাচনী মাঠে কাজ শুরু করেছি। দলীয় সভানেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনয়ন দিলে দক্ষিনাঞ্চল আওয়ামী লীগের অভিভাবক আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি’র নেতৃত্বে ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর সাথে সমন্বয় করে এ আসনের সদর উপজেলাকে উন্নয়নের মডেল হিসেবে রুপান্তরিত করা হবে।

এদিকে প্রার্থী হওয়ার কথা জানান দিয়েছেন এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জেবুন্নেসা আফরোজ। এছাড়া আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক এবং আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা মশিউর রহমান খান এর নামও শোনা যাচ্ছে।

অন্যদিকে নির্বাচনে অংশগ্রহনের সিদ্ধান্ত এখনও পর্যন্ত না থাকলেও বরিশালে বিএনপির দলীয় সকল কর্মসূচীতে থাকছে নির্বাচনী বক্তব্য। জাতীয় নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে সম্ভাব্য প্রার্থীরা ততই বরিশালমুখি হচ্ছেন। প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন এই আসনের একাধিকবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার। তিনি সংসদ সদস্যর পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করেছেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা জানান, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলেই কেবল বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। কেননা বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচন তারা দেখেছেন। ১৫৩ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তারাই দেশ চালাচ্ছেন। আর প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করছেন। তবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনের নির্বাচনে তিনি বরিশাল ৫ আসন থেকে অংশগ্রহনের আশা ব্যাক্ত করেন। কিন্তু স্থানীয় অনেক রাজনীতিবিদ মনে করেন দলীয়সহ নানা কারনে মজিবর রহমান সরোয়ার বরিশালের রাজনৈতিক মাঠ ও সামাজিক কর্মকান্ডে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকায় দলের কাঠামো অনেকটা ভেংগে পড়েছে।

দলের এমন ক্রান্তিকালে বরিশালে বিএনপির রাজনীতির হাল ধরেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য বিলকিস জাহান শিরিন। তিনি বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সাথে নিয়ে আবারো দল গুছানোর চেষ্টায় নামেন। এবং অনেকটাই সফলও হন। দীর্ঘদিনের পুরোন কমিটি ভেংগে নতুন নেতৃত্বের সমন্বয়ে আবারো দলকে চাঙা করেন। প্রায় কর্মসূচীহীন দলে এখন প্রায় প্রতিদিনই নানা ইস্যুতে হচ্ছে সভা-সমাবেশ। শুধু তাই নয় প্রতিটি সমাবেশেই থাকছেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এতে করে উচ্ছসিত দলীয় কর্মীরা। বিএনপির অনেক নেতা মনে করেন আগের চেয়ে বরিশালে দলটি শক্তিশালী হয়েছে।

যিনি বিএনপিকে বরিশালে আবারো ঘুরে দ্বার করিয়েছেন সেই নেতা বিলকিস জাহান শিরিনও আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত বলে জানা গেছে। তৃনমুল থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে উঠে আসা এই নেত্রী বলেন, পুরো বরিশাল বিভাগের বিএনপির রাজনীতি ছিলো স্থানীয় ব্যাক্তি কেন্দ্রিক। সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে ব্যাক্তিকে নয় দলকে গুরুত্ব দিয়ে বরিশালে বিএনপি এখন সুসংগঠিত। নির্বাচনে অংশগ্রহনের কথা জানিয়ে তিনি আরো বলেন, দলের দুঃসময়ও তিনি ছিলেন। ওয়ান ইলেভেনের সময় জিয়া পরিবারের পাশে যে দু’চারজন ছিলেন তার মধ্যে তিনিও ছিলেন।

বিএনপি নির্বাচনে গেলে সেই জায়গা বিবেচনা করে দল তাকে মনোনয়ন দিবে বলে আশা করেন এই নেত্রী। এছাড়া জাতীয় পার্টি থেকে বরিশালে প্রার্থী হিসেবে একমাত্র যার নাম শোনা যাচ্ছে তিনি হলেন দলের চেয়াম্যানের উপদেষ্টা ইকবাল হোসেন তাপস। তিনি এর আগে দলের যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশাল মহানগর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ছিলেন। তিনি জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনে দল তাকে মনোনিত করলে বরিশাল-৫ আসন থেকে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। সেই অনুযায়ী তিনি নেতা-কর্মীদের সুসংগঠিত করে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও বরিশাল-৫ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী হতে পারেন চরমোনাই পীরের ভাই মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম।

সূত্রমতে, বরিশাল-৫ (সদর) আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৯৭ হাজার ২৩০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩৭৯ এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৫১ জন। এ আসনে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৭৪টি। তবে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ চলমান থাকায় ভোটার সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: