দিয়ানী সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা অগ্নি সংযোগ

প্রকাশিত: ০৮ মার্চ ২০২৩, ০৮:৪৫ পিএম

নির্বাচনের আগে দেশকে অস্থিতিশীল করা এবং বিএনপিকে আতঙ্কিত রাখতেই পঞ্চগড়ে হামলার ঘটনা। আলামত দেখে মনে হচ্ছে দেশে গনতন্ত্র নেই..... পঞ্চগড়ে মেজর (অব) হাফিজউদ্দিন। বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বীর বিক্রম মেজর (অব:) হাফিজউদ্দিন বলেছেন নির্বাচনের আগে দেশকে অস্থীতিশীল করার জন্য বিশেষ করে দেশের সবচাইতে জনপ্রিয় দল বিএনপিকে আতঙ্কের মধ্যে রাখার জন্য এই ঘটনার অবতারনা করা হয়েছে। আমরা এলাকা পরিদর্শন করেছি আলামত দেখে মনে হচ্ছে দেশে গনতন্ত্র নেই। দেশে আইনের শাসন নেই। কোন মানুষের কোন অধিকার নেই।

মানবতা প্রতিদিনই লুন্ঠিত হচ্ছে। সারাবিশ্বব্যাপি বাংলাদেশ মানবতা বিরোধী মানবাধিকার বিরোধী একটি রাস্ট্রযন্ত্ররূপে সীকৃতি পেয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসনের কোন জবাবদিহীতা নাই। সরকারী দলের ছত্র ছায়ায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালানো হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা। হাফিজউদ্দিন বলেন এত অপরাধী সবাই সবাইকে চিনে কিন্ত ধরা হচ্ছে শুধু বিএনপি নেতা কর্মীদের। এখন পঞ্চগড়ের বিএনপি নেতা কর্মীরা পলাতক। অতীতে বিএনপি ক্ষমতায় ছিল তখন পঞ্চগড় ছিল বোদা থানা ছিল কিন্ত তখন এই ধরনের হামলা হয়নি। কারন তখন দেশে আইনের শ্বাসন ছিল। সাবেক এই মন্ত্রী মন্তব্য করেন কাদিয়ানী সম্প্রদায়কে নিয়ে পঞ্চগড়ের ঘটনাটি উদ্দেশ্যপ্রনোদিত এবং পরিকল্পিত।

আমাদের দল বর্তমানে সীমাহীন তান্ডবের স্বীকার বিএনপি’র ব্যাক্তিগত পলিসি ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। আমরা পঞ্চগড়ে সর্বপ্রথমে প্রশাসনের সাথে কথা বলতে চেয়েছিলাম কিন্ত শেষ সময়ে আমাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হয় আমাদের সাথে প্রশাসন মত বিনিময় করবেনা। এতে বুঝা যায় প্রশাসন কতটুকু দায়িত্বশীল? আসলে কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের উপর হামলা কারা করেছে এটি জনমনে পরিস্কার। আমরা যখন ক্ষমতায় ছিলাম তখন সাধারন মানুষের নিরাপত্তা ছিল। তিনি আজ বিকেলে পঞ্চগড় জেলা বিএনপি কার্য্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। বুধবার বিকেলে পঞ্চগড় জেলা বিএনপি এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

এ সময় বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট সাবেক সভাপতি সদস্য, বাংলাদেশ বার কাইন্সিল ও সহ-সভাপতি কেন্দ্রীয় বিএনপি, এ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, সাবেক সচিব, বিএনপি চেয়ারপারর্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য.মো.ইসমাইল হোসেন, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়ের জাহাঙ্গীর আলম, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, জেলা বিএনপি’র সিনিয়ার যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র তৌহিদূল ইসলাম সহ জেলা বিএনপি’র নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বুধবার দুপুরে পঞ্চগড়ের আহম্মদনগড় এলাকা পরিদর্শন করেন বিএনপির প্রতিনিধি দল। সংবাদ সম্মেলনের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত মুসুল্লি আরিফুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে সান্তনা সমবেদনা জানায় বিএনপি’র প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

উল্লেখ, গত ৩ ৪ ও ৫ মার্চ আহম্মদ নগড় এলাকায় কাদীয়ানীদের সালানা জলসা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই জলসাকে কেন্দ্র করে মুসুল্লিদের বিক্ষোভ বিক্ষোভ সংঘর্ষ হত্যার ঘটনা সংঘটিত হওয়ায় গত শুক্রবার (৩ মার্চ) রাতে সালানা জলসা বন্ধ করে দেয় প্রশাসন।

এদিকে সংঘর্ষ বিক্ষোভ এবং হত্যার ঘটনায় ১৩টি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে পঞ্চগড় সদর থানায় ১১টি এবং বোদা থানায় দুইটি। বুধবার বিকেল পর্যন্ত পুলিশ র‌্যাব বিজিবির যৌথ অভিযানে ১৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে গুজব সৃষ্টিকারী হিসেবে পঞ্চগড় পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলে রাব্বী (২৬), পঞ্চগড় জেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি নাসিরউদ্দিন (৩৫) রয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: