চুয়াডাঙ্গায় ৮টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ চলছে

চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর ও আলমডাঙ্গা উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের এ ভোট গ্রহন। নির্বাচনে ব্যাপক সংঘাত ও সহিংসতার শঙ্কা নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে নির্বাচন। সে হিসেবে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ করতে এবং আইনশৃংখলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা নির্বাচনী এলাকায় টহল জোরদার করেছে।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ও আইলহাস এই ২ টি ইউনিয়নে ১৮ টি কেন্দ্রে এবং জীবননগর উপজেলার উথলী, কেডিকে, মনোহরপুর, বাঁকা, হাসাদাহ ও রায়পুর এ ৬ টি ইউনিয়নে ৫৪টি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম (ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিং) এর মাধ্যমে এ গ্রহণ ভোট চলবে।

আলমডাঙ্গা উপজেলার ২টি ইউনিয়নে সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ২২ হাজার ৮১৫ জন এবং চেয়ারম্যান পদে সর্বমোট ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এর মধ্যে আইলহাঁস ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ হাজার ৪৫৮ জন। এ ইউনিয়নে ৩ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। নাগদাহ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১০ হাজার ৩৫৭ জন। এ ইউনিয়নে ৯ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।

জীবননগর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ৮৩ হাজার ৭৮৫ জন এবং চেয়ারম্যান পদে সর্বমোট ২৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। এর মধ্যে মনোহরপুর ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ৪৬১ জন। এ ইউনিয়নে ৩ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। কেডিকে ইউনিয়নে সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ৮৯৪ জন। এ ইউনিয়নে ৩ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। উথলী ইউনিয়নে সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ১৫ হাজার ১৫৩ জন। এ ইউনিয়নে ৫ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। রায়পুর ইউনিয়নে সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ১০ হাজার ২৭৬ জন। এ ইউনিয়নে ৫ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। হাসাদাহ ইউনিয়নে সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ১৫ হাজার ৮৫৬ জন। এ ইউনিয়নে ৬ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। বাঁকা ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৫ হাজার ১৪৫ জন। এ ইউনিয়নে ৬ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, নির্বাচনে সুষ্ঠভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। এখনো পর্যন্ত কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোটার রা যেন নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারে তার জন্য সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার কামরুল হাসান জানান, সব প্রস্ততি শেষে ভোট গ্রহন চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। নির্বাচনের বিষয়ে কোনো ধরনের শঙ্কার কিছু নেই। ভোটাররা অবাধ ও নির্বিঘেœ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। যেকোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ৬ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ করতে এবং আইনশৃংখলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা নির্বাচনী এলাকায় টহল জোরদার করেছে।