"বেদনাদায়ক দুর্ঘটনা"

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২৩, ১০:৪৭ পিএম

মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে একটি বেদনাদায়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার (১৯ মার্চ) শিবচর উপজেলার ভাঙ্গা-মাওয়া-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়েতে চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারায় ইমাদ পরিবহনের একটি বাস। পরে রেলিং ভেঙে খাদে পড়ে যায় বাসটি। এতে ঘটনাস্থলে ১৭ জন মারা যান। হাসপাতালে আরও দুজনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন।

সামনের বাম পাশের চাকা ব্লাস্ট হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে বাসটি। দ্রুত গতির হওয়ায় এক্সপ্রেসওয়ের রেলিং ভেঙে নিচে পড়ে যায়। দুমড়ে-মুচড়ে যায় বাস। চালক দ্বিখণ্ডিত হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান বলে জানান শিবচর ফায়ার সার্ভিসের লিডার হারুণ অর রশিদ।

তিনি ধারণা করে আরও জানান, প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে সকালে হালকা বৃষ্টির কারণে রাস্তা পিচ্ছিল ছিল। গাড়ি দ্রুত চালানোয় হয়তো চাকা ব্লাস্ট হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তবে ভয়াবহ এ বাস দুর্ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন। কমিটিকে আগামী দুইদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

জীবনের যেন মূল্যই নেই। এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। প্রতিদিনই সড়কে মৃত্যুর মিছিল। অথচ, কোনো স্থায়ী প্রতিকার নেই। যেন সড়ক দুর্ঘটনারোধে কারোর কোনো দায় নেই। প্রতিদিনের দুর্ঘটনা যেন নিত্যদিনের স্বাভাবিক ঘটনা।

দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি নিহতদের পরিবারকে যৌক্তিক সহায়তা দিতে হবে। আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।

আর দুর্ঘটনা ঘটার পরই কেবল তা নিয়ে মাতামাতি হয়। আবার কিছুদিন পর আলোচনা স্তিমিত হয়ে যায়।
যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে দুর্ঘটনার কারণ নির্ণয় করে ভবিষ্যতে যেন এভাবে অকারণে প্রাণহানি না ঘটে, তার ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। নইলে বেদনায় ছেয়ে যাওয়া খবরগুলো দিনের পর দিন দেশের নাগরিকদের আঘাত করতেই থাকবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: