মধ্যরাতে অনশনে শিক্ষার্থীরা, এলেন কুবি উপ-উপাচার্য

প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০২৩, ০৯:২৪ এএম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) প্রক্টরের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবিতে আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছে ৫ শিক্ষার্থী। এদিকে রবিবার (১৯ মার্চ) রাত সোয়া ১২ টায় অনশনরতদের দেখতে এলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।

এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের বলেন, সবারই গণতান্ত্রিক অধিকার আছে প্রতিবাদ করার। যেকোন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে, যেকোন ব্যবস্থার পরিবর্তনের জন্য বা আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শিক্ষকদের যেমন অধিকার আছে তেমনি শিক্ষার্থীদেরও অধিকার আছে। তাদের প্রতিবাদ জানানোর যে ভাষা সেটা আমাদের জন্য কষ্টকর। আমরা বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সাথে, উপাচার্যের সাথে বসবো।

রবিবার (১৯ মার্চ) বিকেলে শুরু হওয়া এ অনশন প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চলমান রয়েছে। তবে রাত পৌনে একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং অন্যান্য প্রশাসনিক ব্যক্তিরা ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন। অনশনরত শিক্ষার্থীরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন করবেন তারা।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনায় হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার, প্রক্টরের অপসারণ, বহিষ্কৃত দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ পাঁচ দফা দাবিতে এ আমরণ অনশনে বসেছেন তারা।

টানা ১০দিন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পর এবার আমরণে বসেছে সাময়িক বহিষ্কার হওয়া লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ও শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ, একই হলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী সালমান চৌধুরী হৃদয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ইমতিয়াজ শাহরিয়া ও কাজল হোসাইন এবং কাজী নজরুল ইসলাম হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান পলাশ।

অনশনরত শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ শাহরিয়ার বলেন, শিক্ষার্থীদের উপর বহিরাগত এবং অছাত্রদের হামলায় প্রশাসন কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ  নেয়নি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমরণ অনশন করে যাবো।

এদিকে ঘটনার ১১ দিন পরও হামলাকারীদের গ্রেফতার না করায় এবার আমরণ অনশনে বসেন তারা। এদিকে বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনে নামে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমরা তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করছি। তাদের দাবিগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। তবে তারা কোন সাড়া দেয়নি।

এদিকে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাথে প্রক্টরিয়াল টিম ছাড়াও উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার, ডিন ও বিভাগের শিক্ষকরা এসে কথা বলেছেন।

বিকেল সাড়ে ৫টায় অনশনকারী শিক্ষার্থীদেরকে দেখতে এসে সান্ত্বনা দিয়ে যান কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান। তবে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে কোনো উত্তর না দিয়েই স্থান ত্যাগ করেন তিনি।

অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে আসেন উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মঈন। এসময় তিনি আন্দোলন তুলে নিতে অনুরোধ করলেও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন। তবে এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, আমি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে চাই না।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: