'সাংবাদিকদের সাথে প্রশাসনের কোন দ্বন্দ্ব নেই, কে এসব করছে দেখা হবে'

প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০২৩, ১০:২৪ পিএম

উপজেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা, উপজেলা চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পের সংবাদ সম্মেলন করেছেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান শাহরীয়ার। এছাড়া সংবাদ সংক্রান্ত প্রয়োজনসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে সাংবাদিক, গণমান্য ব্যক্তি ও সাধারণ মানুষের ফোন রিসিভ না করাসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে এ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এমন ঘটনা অহঙ্কারী ও দাম্ভিকতার বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করেন সচেতন মহল। এদিকে এঘটনায় সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সোমবার বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে হলরুমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহহীন প্রকল্পের তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে জমি ও গৃহ হস্তান্তর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি সম্পাদকসহ নবীগঞ্জের বিভিন্ন জাতীয় স্থানীয় পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিকদের দাওয়াত দেয়া হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান শাহরীয়ারের পাশে বসে ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম,  ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগম, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. তাজ উদ্দিন, পজীব কর্মকর্তা শাকিল আহমদ, ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব, নিমুুলেন্দু দাশ রানা, রঙ্গ লাল দাশ। দুই তিন জন অফিসমুখী সাংবাদিক ছাড়া বেশির ভাগ সাংবাদিক অনুষ্ঠান বর্জন করেন। সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের দায়িত্বভার পালনকালে প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের দাওয়াত দিলেও বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে সব সাংবাদিক দাওয়াত পাওয়ার কথা থাকলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান শাহরীয়ার অজ্ঞাত কারনে নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সম্পাদকসহ বেশির ভাগ সাংবাদিককে দাওয়াত দেননি। প্রধানমন্ত্রীর মহান এই প্রকল্পে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অনেক সাংবাদিক দাওয়াত না পাওয়ার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি মোঃ আলমগীর মিয়া বলেন, আমার সংগঠনের কেউ দাওয়াত পাননি।
নবীগঞ্জের প্রবীণ সাংবাদিক নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব প্রতিনিধি ফখরুল আহসান চৌধুরী বলেন, প্রধনমন্ত্রী এতো বড় মহান প্রকল্পের সংবাদ সম্মেলনে কেউ আমাকে দাওয়াত দেয়নি, এখন শোনলাম সংবাদ সমে¥লন হয়েছে।

নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও ইত্তেফাক প্রতিনিধি সাইফুল জাহান চৌধুরী, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও যায়যায়দিন প্রতিনিধি এটিএম সালাম, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি যুগান্তর প্রতিনিধি মোঃ সরওয়ার শিকদার বলেন, আমরা সংবাদ সম্মেলনের কোন খবর জানিনা। প্রশাসন আমাদেরকে দাওয়াত করে নাই। নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সমকাল প্রতিনিধি এম,এ আহমদ আজাদ বলেন, প্রেসক্লাব সভাপতি হিসাবে তো কোন দাওয়াত পাইনি বরং একজন এক্টিভ রানিং সাংবাদিক হিসেবেও আমাদের কোন দাওয়াত করা হয়নি। আমরা খুব হতাশ প্রধানমন্ত্রী এই মহান প্রকল্পের সংবাদ সম্মেলনে দাওয়াত না পাওয়ার জন্য।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে দেখবো সাংবাদিক সমাজ কেন দাওয়াত পায়নি। প্রেসক্লাব নিয়ে কোন গ্রুপিং থাকলেও জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার সব সাংবাদিক দাওয়াত পাওয়ার কথা। ডিসি আরও বলেন- সাংবাদিকদের সাথে প্রশাসনের কোন দ্বন্দ্ব নেই, কে এসব করছে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।

 

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: