এক বছরেই ৩৫টির অধিক উন্নয়নমুলক কাজ করে দৃষ্টান্ত রাখলেন চেয়ারম্যান আজাদ

প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০২৩, ০৯:৫৩ পিএম

নির্বাচিত হওয়ার এক বছরের মধ্যে উন্নয়ন বঞ্চিত থাকা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে সড়ক, মসজিদ, মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ৩৫টির অধিক দৃশ্যমান উন্নয়ন মুলক কাজ করেছেন। যা পূর্বে অন্য কোনো জনপ্রতিনিধি করেননি। তার জন্য সকল মহলে হয়েছেন আলোচিত ও প্রশংসিত আজাদ হোসাইন। তিনি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

তিনি সরকারী বরাদ্ধের বাহিরেও ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও নিজ অর্থ্যায়নে এলাকায় মসজিদ, মন্দির, সড়ক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আ,লীগ অফিস, রিয়ারভিউ ৩৫টির বেশি উন্নয়ন মূলক দৃশ্যমান কাজ করেই থেমে থাকেন নি অসহায় গরিব পরিবার ও শিক্ষার্থীদের সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদে আগত সকল মানুষকে বিভেদ ভুলে ভিজিডি, বয়স্ক ভাতা, জন্মনিবন্ধন, নাগরিক সনদ ভিজিএফ কার্ডসহ সকল কাজের সচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে প্রকৃতি ক্ষতিগ্রস্থ মানুষকে দিচ্ছেন। একারনে ইউনিয়নের প্রতিটি মানুষের মুখে মুখে আলোচনা ছাড়িয়ে উপজেলা ও জেলা জুড়ে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে।

বালিজুরী ইউনিয়ন পরিষদে বয়স্ক ভাতা নিতে আসা রহিমা বেগম জানান, পরিষদে এসে আমি প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দিয়ে সহজেই বয়স্ক ভাতার তালিকার নাম উঠিয়েছি। কোনো ধরনের কোন ঝামেলা পোহাতে হয়নি। আমার মত সবাই সঠিক সেবা পেয়েছেন। এছাড়াও যখনি এসেছি তখনেই পরিষদে চেয়ারম্যানকে পেয়েছে।

হোসেনপুর গ্রামের বাসিন্দা আরিফুর রহমান জানান, আজাদ হোসাইন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। যার ফলে আমাদের জীবন জীবিকা সহজ হয়েছে। বিচার ব্যবস্থায়ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। ফলে এলাকায় কেউই অন্যায় করার সাহস পাচ্ছে না।

মাহতাবপুর গ্রামের বাসিন্দা শফিক মিয়া জানান, আমরা সড়ক পথের ব্যবস্থা না থাকা চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছি যুগ যুগ ধরে। মাহতাবপুর থেকে মল্লিকপুর গ্রামের সাথে সড়ক পথের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। আজাদ হোসাইন চেয়ারম্যান হওয়ার পূর্বেই এই সড়কের কাজ করেছেন নিজের টাকায়। এখন আমরা এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে পারি।

আনোয়ারপুর বাজার এলাকার বাসিন্দা ফরিদ মিয়া জানান,বাজারে জামে মসজিদটি টিনসেটের ঘর ছিল তিনি সমজিদটি পাকা করে দিচ্ছেন। এতে করে আমরা মুসল্লীদের জায়গার কোনো সংকট হবে না। এমন উদ্যোগ এক বারেই বিরল।

চেয়ারম্যান আজাদ হোসাইন জানান,আমি নির্বাচনে বলেছিলাম এই ইউনিয়নকে একটি আধুনিক ও সময় উপযোগী উন্নয়নের মাধ্যমে আলোকিত করব। আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আর সবাই আমাকে সহযোগিতা করছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বেন। সেই দিক নির্দেশনা মাথায় রেখে আমি আমার ইউনিয়নকে আগামী চার বছরের মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তনের মাধ্যমে একটি স্মার্ট ইউনিয়ন পরিষদে গড়ে তুলব সবার সহযোগিতা নিয়ে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: