ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রোজা না আসতেই অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার

বর্হির বিশ্বে যেখানে রমজান আসলে বাজারের মূল্য সহনশীলতার মধ্যে চলে আসে সেখানে বাংলাদেশের চিত্র ভিন্ন। রমজান এগিয়ে আসলে প্রতিযোগিতা করে বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বাড়িয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা।এমন চিত্র- ই দেখা যাচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের বাজার গুলোতে।
যেখানে কয়েকদিন আগেও সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ছিল বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী। সেখানে রমজানকে সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে নিজেদের মত করে। এতে করে সাধারণ মানুষ রমজানের বিভিন্ন জিনিসপত্র ক্রয় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
সরজমিনে বাজারগুলোত ঘুরে দেখা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেও যেখানে কলা ৬০টাকা কুড়ি ছিল এখন ১৫০ টাকা কুড়িতে এসে ঢেকেছে। সেই সাথে বেগুন ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৯০ টাকা প্রতি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, ডিম ৪৫ টাকা থেকে দাম বেড়ে হালি প্রতি ৬০ টাকা হয়েছে। আলু ২০ টাকা থেকে বেড়ে ২৫ টাকা হয়েছে। শসার কেজি ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা হয়েছে। পোল্ট্রি মোরগের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাহিরে অনেক আগে থাকলেও রমজানকে সামনে রেখে প্রতি কেজিতে আরো ২০-৩০ টাকা করে বেড়েছে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজিতে, খাসি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১১শ টাকায়। রমজানের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে যেমন, ছোলার বুট, খৈসারী ডাল, মুড়ি, বেসন, পেয়াজ, রসুন, আদা, চিনি, তৈল সব ধরনের মসলা বাজারসহ সবকিছুর দাম-ই এখন সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে রয়েছে।
এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থা, প্রশাসনের মনিটরিং অভাব সহ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে আছে বলে মনে করছেন সাধারণ ক্রেতারা।
বাজার করতে আসা পৌরশহরের ফুলবাড়িয়া এলাকার টিপু মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বিডি২৪ লাইভকে বলেন, রমজানের বাজার করতে এসে দাম শুনে আমি চিন্তিত, কয়েকদিন আগে যে পণ্যটি দাম এক রকম ছিল রমজানে চলে আসায় তার দাম কয়েক গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা যারা মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ তাদের নিত্যপূণ্য বিভিন্ন জিনিস কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। রমজান আসলে মনে হয় ব্যনসায়ীরা দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় নেমে যায়। বাজারের এমন মূল্যে আয় থেকে ব্যায়ের পরিমান বেড়ে যাচ্ছে। এখন সংসার সামলানো কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দিন মজুর মোঃ রহিম মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি বিডি২৪ লাইভকে বলেন, দিনে এনে দিনে খায়, রমজান চলে এসেছে তাই রমজানের বাজার করতে এসেছি। কিন্তু বাজারে এসে দামের যে পরিস্থিতি দেখতেছি বাজার করে বাড়িতে নিয়ে যেত পারব কিনা জানি না। আমরা যারা দিন মজুর কত টাকাই বা রোজগার করি, আমাদের মত নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে সব জিনিস পত্র। আমাদের মত নিম্ন আয়ের মানুষ না খেয়ে থাকতে হবে,বাজারের যে পরিস্থতি সৃষ্টি হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মেহেদী হাসান বিডি২৪ লাইভকে বলেন, ‘সম্প্রতি ব্যবসায়ীকদের সঙ্গে মিটিং করেছি। প্রতিটি বাজারই মনিটরিং করা হবে। অসাধু ব্যবসায়ীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’ তিনি আরো বলেন রমজান উপলক্ষে আমারা নিয়মিত বাজার মনিটরিং পরিচালনা করব।অতিরিক্ত মূল্য বাড়িয়ে ব্যবসা করার কোন সুযোগ নেই। যারা মূল্য তালিকা থেকে অতিরিক্ত দামে পূণ্য বিক্রি কারবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সকাল-বিকাল নিয়মিত আমাদের বাজার মনিটরিং অব্যাহত থাকবে।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: