ইউটিউবারদের উদ্দেশ্যে যে বার্তা দিলেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২৩, ১০:২৪ পিএম

ইউটিউবারদের নিয়ে বার্তা দিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট ইসলামিক ব্যক্তিত্ব শায়খ আহমাদুল্লাহ। বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) ফেসবুকে দেওয়া দীর্ঘ এক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইনের বিভিন্ন প্লাটফর্ম-বিশেষ করে ফেসবুক ও ইউটিউবের বিশাল অংশ জুড়ে আছে ইসলামিক কনটেন্ট।

কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, অনেক ইউটিউবার ভিউয়ার্স বাড়াতে গিয়ে তাদের কনটেন্টে কুরুচিপূর্ণ থাম্বনেইল, অসংলগ্ন ক্যাপশন এবং অগুরুত্বপূর্ণ ভিডিও ব্যবহার করে থাকে। বক্তাদের পারস্পরিক বৈরিতা ও দূরত্ব বৃদ্ধিতেও তাদের এই অনৈতিকতা অনেকাংশে দায়ী। দ্বীন প্রচারের কাজে যুক্ত আমাদের প্রিয় এই যুবকগুলো একটুখানি পার্থিব সুবিধার জন্য অসততা ও অনৈতিকতার আশ্রয় নেবে, আমরা কখনোই তা কামনা করি না। তাদের নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রতকরণ এবং ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনার নীতিমালা সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেয়া আমাদের দীনি দায়িত্ব।

আহমাদুল্লাহ লিখেন, এই দায়িত্বের অংশ হিসেবে ইসলামিক কন্টেন্ট নির্মাণের সাথে যুক্ত প্রায় ৯০টি মিডিয়াকে দাওয়াত দেয়া হয়েছিল আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন অফিসে। গত ২০ মার্চ সন্ধ্যায় ফাউন্ডেশনের অডিটোরিয়ামে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী তাদের সাথে মতবিনিময় এবং নাসীহা প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করি।

তিনি আরো লিখেছেন, যে কোনো আলেমের বক্তব্যে রুচিসম্পন্ন থাম্বনেইল, সামঞ্জস্যপূর্ণ ক্যাপশন, সুনির্বাচিত ভিডিও ব্যবহার এবং গুজব ও আপত্তিকর সংবাদ না ছড়ানোর ব্যাপারে কথা বলি। কথা বলি অনলাইনের উপার্জন সম্পর্কেও। অ্যাডসেন্স ছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে শরীয়তসিদ্ধ বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে কীভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়, সে সম্পর্কেও দিকনির্দেশনা দেই।

শায়খ আহমাদুল্লাহ তার স্ট্যাটাসে আরো জানান, এদেশের ওয়াজ-মাহফিলে সবচেয়ে বেশি উপস্থিত থাকেন ইউটিউবারগণ। ওয়াজ-মাহফিল যেন তাদের শুধুই অর্থোপার্জনের মাধ্যম না হয়, বরং মাহফিলে আহরিত জ্ঞানের মাধ্যমে তাদের আমলি জীবন যেন সমৃদ্ধ হয়, সেই নিবেদন পেশ করি ইউটিউবারদের সামনে। নাসীহা প্রোগ্রাম শেষে ইউটিউবারগণ প্রতিজ্ঞা করেছেন, কন্টেন্ট তৈরি ও প্রচারের ক্ষেত্রে আমাদের নির্দেশনা তারা সামনে রাখবেন। আল্লাহ তাদেরকে সুমতি এবং আলেমদেরকে ইখলাস দান করুন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: