তারাবি না পড়লে রোজা হয় না?

প্রকাশিত: ২৪ মার্চ ২০২৩, ১২:১০ পিএম

মুসলমানদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ একটি মাস রমজান। এই মাসে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা রোজা রেখে থাকেন। মহান আল্লাহতায়ালা রোজার মধ্যে অনেক ফজিলত দান করেছেন। রোজা হলো মুসলমানদের জন্য বিশেষ এক পরীক্ষা। এ পরীক্ষা যেমন মহান সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ লাভের, ঠিক তেমনি সুস্থ-সবল দেহে পরিপূর্ণভাবে সব আমল ও ইবাদত সম্পন্ন করার। তবে এ ক্ষেত্রে আমাদের কিছু ভুল ধারণা আছে। যেমন—তারাবির নামাজ না পড়লে রোজা হবে কিনা!

এশার নামাজের চার রাকাত ফরজ ও দুই রাকাত সুন্নতের পর এবং বেতর নামাজের আগে দুই রাকাত করে ১০ সালামে যে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়, তাকে ‘তারাবির নামাজ’ বলা হয়।

সারা দিন রোজা রাখার পর এশার নামাজ শেষে আমরা সাধারণত তারাবির নামাজ পড়ে থাকি। ২০ রাকাত তারাবির নামাজ পড়ার পর বেতর নামাজ পড়ে আমরা বাসায় ফিরে আসি। তারাবির নামাজ জামাতে পড়া ও সম্পূর্ণ কোরআন শরিফ একবার খতম করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। অন্যদিকে রোজা মুসলমানদের জন্য ফরজ করা হয়েছে।

এখন প্রশ্ন হলো, তারাবির নামাজ না পড়লে রোজা হবে কিনা। এ বিষয়ে অনেক মতবিরোধ রয়েছে। অনেকে মনে করেন, তারাবির নামাজ না পড়লে রোজা হবে না। আসলে বিষয়টি ঠিক নয়।

তারাবির নামাজ কোনো কারণে কেউ পড়তে না পারলে অনেকে মনে করেন, তারাবি যেহেতু পড়তে পারলাম না, তাহলে রোজা রেখে লাভ নেই। বিষয়টি একদমই ঠিক নয়। কেননা, তারাবির নামাজ হলো সুন্নতে মুয়াক্কাদা, যা পালনে বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু রোজা রাখায় আছে। রোজা রাখা ফরজ, যা অবশ্যই পালনীয়।

তারাবির নামাজ রাসুল (সা.) পড়েছেন। তার ধারাবাহিকতায় এই নামাজ মুসলমানরা পড়ে আসছেন। হজরত ওমর ফারুক (রা.) থেকে এখন অবধি ২০ রাকাত তারাবির নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় হয়ে আসছে। বাংলাদেশের সব মসজিদেই ২০ রাকাত তারাবির নামাজ পড়া হয়। কিন্তু যদি কেউ তারাবির নামাজ পড়তে না পারার জন্য পরবর্তী সময়ে রোজা না রাখেন, তাহলে তিনি অনেক বড় ভুল করবেন। কেননা, তারাবি হচ্ছে সুন্নত আর রোজা ফরজ। ফরজ মানে অবশ্যপালনীয়। তাই রোজার সঙ্গে তারাবির কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু রোজা রেখে তারাবির নামাজ পড়লে তাতে অধিক সওয়াব পাওয়া যাবে।

রমজান মাসে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। তাই এ মাসে তারাবির নামাজের মাধ্যমে পবিত্র কোরআন খতম দেওয়া হয়। আপনি যদি রমজানের পুরো মাস ধারাবাহিকভাবে তারাবির নামাজ পড়তে পারেন, তাহলে আপনি পবিত্র কোরআন খতম দেওয়ার সওয়াবও পেয়ে যাবেন। কিন্তু যদি কেউ তারাবির নামাজ পড়তে না পারেন, তাতে সমস্যা নেই। এতে রোজায় কোনো প্রভাব পড়বে না। তারাবির নামাজ না পড়তে পারলেও রোজা হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: