টাকা নয়, ভালো কাজ করলেই মেলে খাবার

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২৩, ১০:৫৫ পিএম

একটি ভালো কাজের বিনিয়মে দেওয়া হচ্ছে খাবার। অনেকে সেখানে যাচ্ছেন খাবার খাচ্ছেন। শুধু শোনাতে হবে একটা ভালো কাজের কথা। শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর বাসাবো বৌদ্ধমন্দির থেকে কয়েকশত গজ সামনে ঠিক খিলগাঁও ফ্লাইওভারে ওঠার আগে রাস্তার পাশের ফুটপাতে এই ভালো কাজের হোটেলের দেখা মেলে।

রাস্তার ফুটপাতের খোলা আকাশের নিচে এই হোটেলের অবস্থান। সবাই যেন হোটেলটাকে চিনতে পারে সেই জন্য দেয়ালে বড় করে লেখা আছে ‘ভালো কাজের হোটেল এবং এখানে খেতে টাকা লাগবে না, যে কোন একটি ভালো কাজ কারলেই হবে’। ‘ভালো কাজের হোটেলে’ যে কোনো অসহায় এবং ছিন্নমূল মানুষ এসে খাবার খায়। এখানে সবাই বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছেন। কেউ কাউকে চেনেন না। কেউ কারো আত্মীয় নন। তারপরও অসংখ্য মানুষের উপস্থিতি হলেও নেই কোনো কোলাহল, হুড়োহুড়ি।

শুক্রবার সরজমিনে ঘুরে হোটেলটাতে মিললো ভিন্ন চিত্র। ঘণ্টাখানেক আগেও তারা কেউ কাউকে চিনতেন না। অথচ সুশৃঙ্খলভাবে বসে তারা ইফতার করছেন। হয়তো আর কখনো দেখাও হবে না। তবু পরস্পরের মধ্যে অভূতপূর্ব দরদ লক্ষ্য করা গেল। এ যেন সংযমের মাধ্যমে স্রষ্টার প্রতি আনুগত্য প্রকাশের এক অপার দৃশ্য। পবিত্র মাহে রমজানে মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্বের এ যেন এক পরম নিদর্শন।

হোটেলটার সিনিয়র স্বেচ্ছাসেবক মাহমুদুল হাসান অনিক সংবাদমাধ্যমকে জানান, এবারের রোজা আমাদের বেশ কিছু খাবারের মেনু আছে। আজকে আমরা মুরগির তেহারি পরিবেশন করছি সঙ্গে এক গ্লাস পানি, শরবতও আছে। আমাদের ভ্রাম্যমাণ ছয়টা শাখা আছে। যার মধ্যে ঢাকায় পাঁচটি এবং চট্টগ্রাম একটি। সব মিলিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৮০০ জনের ইফতার আয়োজন করে থাকি আমরা।

তিনি বলেন, যাদের কিনে খাওয়ার সামর্থ্য আছে, তবে বাসে যাতায়াত করার কারণে খাবার কেনার অবস্থাটা তাদের নেই। তাদেরকেও আমরা বিনামূল্যে বাসে বাসে গিয়ে ইফতার বিতরণ করে থাকি। আমাদের এখানে ছিন্নমূল থেকে শুরু করে রিকশাচালকরা পর্যন্ত ইফতার পেয়ে থাকে। প্রথমে লাইন ধরে খাবারগুলোকে রাখা হয়। তারপরে আজানের আগ মুহূর্তে তারা এসে খাবারের সামনে বসে পড়ে। এবং খাবার শেষ হলে যার যার ময়লাগুলো নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে তারপর তারা এখান থেকে যায়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: