বগুড়ার শেরপুরে বিদ্যুৎপৃষ্টে প্রাণ গেল রংমিস্ত্রীর

বগুড়ার শেরপুরে বিল্ডিং বাড়িতে রং করার সময় ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের সাতে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে গোলাম মোস্তাফ (২৬) নামের এক রং মিস্ত্রির নিহত হয়েছে। রবিবার (২৬ মার্চ) সকাল ১০টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। নিহত রং মিস্ত্রি শাহ বন্দেগী ইউনিয়নের সাধুবাড়ী পশ্চিমপাড়া গ্রামের নাজির হোসেনর ছেলে।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ ধুনটমোড় এলাকায় শজিমেকের ডা: রুহুল আমিনের ৩ তলা বিল্ডিং বাড়িতে রং করছিল। বাড়িটির পাশ দিয়ে ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। লাইটি বাড়ি থেকে ১ ফিট দুরত্ব। দড়ি ও বাঁশ ঝুলিয়ে বাড়িটিতে রং করার কাজ করার সময় ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে সঙ্গে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ৩ তলা থেকে নিচে পড়ে যায়।
এতে তার শরীরের প্রায় ৬০ ভাগ ঝলসে গিয়ে এবং মাথা ফেটে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাৎক্ষনিক শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। মেডিকেলে অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। ৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পঞ্জালড়ে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকাল ১০টায় সে মারা যায়।
এ বিষয়ে নিহত গোলাম মোস্তাফার চাচা উজ্জল জানান, ডা: রুহুল আমিনের বাড়িতে রং মিস্ত্রির কাজ করছিল। এ সময় বিদ্যুৎপৃষ্টে গুরুতর আহত হয়। তার চিকিৎসার জন্য ২৫ হাজার টাকা ও এ্যাম্পুলেন্স ডাঃ নিজেই ভাড়া করে দিয়েছে। সবসময় সে সহযোগিতা করছেন।
ডা: রুহুল আমিনের শ্বাশুরি মাহমুদা বেগম জানান, জামাই এই বাড়ি ভাড়া দিয়ে বগুড়া থাকেন। হঠাৎ করেই দুর্ঘটনা হয়েছে। আমরা সার্বক্ষনিক সহযোগিতা করেছি। আল্লাহ হায়াত রাখেনি তাই সে মারা গেছে। তবে চিকিৎসার কোন ত্রুটি ছিলনা।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: