সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে চাঁদাবাজ ছেড়ে দিলেন এসআই, ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ২৬ মার্চ ২০২৩, ০৩:১৩ পিএম

মনিরুল ইসলাম, আমতলী (বরগুনা) থেকে: শেখ মোহম্মদ আলীকে থানায় ডেকে এনে ভয় দেখিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে আমতলী থানার এসআই আব্দুল বারেক চাঁদাবাজ মো. রানা দফাদার ও হৃদয় ভান্ডারীকে ছেড়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে ভুক্তভোগী শেখ মোহম্মদ আলী আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন। দ্রুত চাঁদাবাজদের রক্ষাকারী পুলিশ ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, বরগুনা ট্রাক ও কভারভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের টোকেনের নামে রানা দফাদার, হৃদয় ভান্ডারী, রহিম, রাহাত, কাওসার, সাগর ও মিন্টুসহ ১০-১২ জন চাঁদাবাজ দীর্ঘদিন ধরে আমতলী পায়রা নদী ফেরিঘাট এলাকায় অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে আসছে। তারা ফেরি পাড়াপাড় হতে আসা গাড়ী ও ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে চাঁদা আদায় করছে। চাঁদাবাজদের কর্মকান্ডে গাড়ী চালক ও ফেরিঘাটের ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ। শনিবার সকালে ফেরিঘাট এলাকার ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান, শেখ মোহম্মদ আলী, মোঃ মোশাররফ হোসেন ও শেখ ইমরান অবৈধভাবে চাঁদা আদায় বন্ধের প্রতিবাদ করে।

এতে ক্ষিপ্ত হয় চাঁদাবাজরা। পরে চাঁদাবাজ রানা দফাদার, হৃদয় ভান্ডারী, রহিম, রাহাত, কাওসার, সাগর ও মিন্টু ব্যবসায়ীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের হামলায় শেখ ইমরান (১৬), শেখ মোহম্মদ আলী (৫৫) ও পিয়ারা বেগম (৭০) আহত হয়। আহতরা আমতলী ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

খবর পেয়ে চাঁদাবাজ রানা দফাদার ও হৃদয় ভান্ডারীকে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আটক করে। দুই চাঁদাবাজ আটকের একঘন্টা পরে পুলিশ আহত শেখ মোহম্মদ আলীকে থানায় ডেকে নেয়। ওইখানে এসআই আব্দুল বারেক আহত শেখ মোহম্মদ আলীকে ভয় দেখিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে আটক চাঁদাবাজ রানা দফাদার ও হৃদয় ভান্ডারীকে ছেড়ে দিয়েছেন।

এমন অভিযোগ এনে রবিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে ভুক্তভোগী শেখ মোহম্মদ আলী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, রানা দফাদার ও হৃদয় ভান্ডারী পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পেয়েই ফেরিঘাট এলাকার ব্যবসায়ী ও আমাকে জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে। দ্রুত চাঁদাবাজদের রক্ষাকারী আমতলী থানার এসআই আব্দুল বারেক ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান।

আমতলী থানার এসআই মো. আব্দুল বারেক সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে চাঁদাবাজ ছেড়ে দেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, মিমাংশার স্বার্থে আটক দুইজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

আমতলী থানার ওসি একে এম মিজানুর রহমান বলেন, ফেরিঘাট এলাকায় সকল ধরনের চাঁদা আদায় বন্ধ। কিন্তু সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে চাঁদাবাজ ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: