বাগেরহাটে ধানের খড় চুরি, সাক্ষ্য না দেওয়ায় মারধর

প্রকাশিত: ২৬ মার্চ ২০২৩, ১১:৩৯ পিএম

বাগেরহাটের মুনিগঞ্জ ব্রিজের নিচে থাকা ধানের খড় চুরি করে বিক্রীর অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলার সূজন হাওলাদার নামে এক বখাটের বিরুদ্ধে। এতে চুরি করে খড় বিক্রি করা যুব লীগের নেতা পরিচয় দানকারী সূজন হাওলাদেরর (৩০) পক্ষ সাক্ষ্য না নেওয়ায় শের আলী (৫৫) নামে এক ভ্যান চালককে মারধর করেছে সূজন হাওলাদার ও তার লোকজন। শের আলী সদর উপজেলার গোপালকাঠী গ্রামের আনোয়ার শেখের ছেলে। ধানের খড়ের প্রকৃত মালিক সদর উপজেলার কেশোরপুর গ্রামের সেলিম শেখ নামে এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় বাগেরহাট সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

সেলিম শেখ জানান, আমি বাড়ির গরুর জন্য ২৫ আটি ধানের খড় ক্রয় করে মুনিগঞ্জ ব্রিজের নিচে রাখি। পরদিন দেখি আমার ক্রয়কৃত ধানের খড় নাই। পরে জানতে পারি স্থানীয় ভ্যান চালক শের আলীর ভ্যানে করে মোজাফফর মীর নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। ভ্যান চালকের কাছে জানতে চাইলে আমাকে জানায় স্থানীয় সূজন হাওলাদারের ধানের খড় মোজাফফর মীরের কাছে বিক্রী করেছে যা আমি ভ্যান চালক হিসেবে তার বাড়িতে পৌছে দিয়েছি।

আহত ভ্যান চালক শের আলী বলেন, আমাকে সূজন হাওলাদার জানায় তার কিছু ধানের খড় মোজাফফর মীরের বাড়িতে পৌছে দিয়ে বিক্রীর টাকা নিয়ে আসতে বলে। আমি সূজন হাওলাদারের ধানের খড় মোজাফফর মীরের বাড়িতে পৌছে দিয়ে খড় বিক্রীর টাকা সূজনকে দেই।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) আমি বাড়ির ঘরে ভাত খাওয়ার মুহুর্তে পুলিশ ও সূজন আমার বাড়িতে যায়। সূজন আমার ঘরে ঢুকে আমাকে বলে তুমি পুলিশকে জানাবা ধানের খড় যে আমি বিক্রী করেছি এটা বলেবে না। তুমি বলবা আমি ট্রলার থেকে ধানের খড় নিয়েছো।

আমি সূজনকে বলি আমি মিথ্যা কথা বলতে পারবো না। এ কথা বললে সে আমাকে জানায় তুমি আমার কথা বললে অনেক ক্ষতি বলে শাসিয়ে যায়। আমি পুলিশকে সত্য কথা বললে সূজন আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। আমি আসরের দিকে গোপালকাঠী সুইস গেটের কাছে গেলে সূজন হাওলাদার ও তার ফুফাতো ভাই গাইস শেখ আমাকে মারধর করে। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: