ডাব চুরি করতে গিয়ে গাছের মাথায় অজ্ঞান, ৬ ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার

ফরিদপুরের মধুখালীতে ডাব চুরি করতে নারকেল গাছে উঠে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ছয় ঘণ্টা পর তাকে উদ্ধার করেছেন পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। উদ্ধারকৃত কিশোরের নাম জিহাস (১৩)। সে পৌর এলাকার টমাস তালুকদারের ছেলে। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাতে মধুখালী পৌরসভার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের কয়েকজন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘রাত সাড়ে ৮টার দিকে ছোট ভাইকে নিচে রেখে ডাব চুরির উদ্দেশ্যে ওই কিশোর গাছে ওঠে। পরে আর নামতে পারেনি। ভয়ে সে গাছেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে। সাড়া শব্দ না পেয়ে গাছের নিচে থাকা তার ছোট ভাই স্থানীয়দের জানালে তারা ৯৯৯-এ ফোন করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে চার ঘণ্টার চেষ্টায় তাকে উদ্ধার করেন।’
এ বিষয়ে মধুখালী পৌরসভার প্যানেল মেয়র আনিসুর রহমান লিটন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ডাব পাড়ার উদ্দেশ্যে ওই কিশোর গাছে উঠে আর নামতে পারছিল না। পরে গাছেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে। স্থানীয়রা ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করেন।
মধুখালী ফায়ার সার্ভিসের ফায়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া সংবাদমাধ্যমকে বলেন, রাত ১০টার দিকে ৯৯৯-এ কল পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। রাত দেড়টার দিকে ওই ছেলেকে উদ্ধার করা হয়। নারিকেল গাছটি বেশ বড় হওয়ায় আমাদের ফায়ার সার্ভিস অফিসে যাবতীয় সরঞ্জাম না থাকার কারণে ফরিদপুর জেলা ফায়ার সার্ভিস একটি ইউনিটের সাহায্য নেওয়া হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মধুখালী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যতটুকু জানতে পেরেছি। ওই ছেলেটি ডাব ও সুপারিসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি করে। সে ডাব চুরির উদ্দেশ্যে গাছে ওঠার পর আর নামতে পারেনি। ভয়ে গাছের ওপরই অজ্ঞান হয়ে যায়। স্থানীয়রা ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করি।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: