শামসুজ্জামানের মুক্তি চেয়ে মানববন্ধনে কেঁদেছেন 'মা'

ঢাকার ধামরাইয়ে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মুক্তির দাবিতে পরিবারের ডাকা মানববন্ধন কর্মসূচীতে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মা করিমন নেছা নির্বাক দাড়িয়ে কেবল ডুকরে কেঁদে চোখের জল ফেলে গেছেন তিনি বলতে পারেননি একটি কথাও। তার এই কান্নার রেশ উপস্থিত সবাইকেই করেছে মর্মাহত। পরে তাকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
শনিবার (১ এপ্রিল) দুপুরে ধামরাইয়ের ডাউটিয়া এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে এ মানববন্ধন করেন পরিবারের সদস্যসহ প্রায় শতাধিক এলাকাবাসী ও সাংবাদিকরা।
এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা বলেন, শামসুজ্জামান দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা ছিল গণ মানুষের পক্ষে। সে সবসময় মানুষের কথা তুলে ধরেছে। তার পরিবারের বিরুদ্ধেও দেশ বিরোধী কোনো অভিযোগ নেই। তার ভাই দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে। অথচ, আজ একটা প্রতিবেদনের জন্য তাকে মামলা দিয়ে কারাবন্দী করা হয়েছে। তার পরিবারের উপর কোন কালি নেই। তাদের সততা সম্পর্কে এলাকার সবাই অবগত আছেন। তাই সরকারের কাছে আমার অনুরোধ অবিলম্বে আমার ভাই শামসকে মুক্তি দেয়া হোক।
স্থানীয় সাংবাদিক সোহেল রানা বলেন, স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর সংবাদ সরকারকে বিব্রত করেনি। অন্য একটির বেসরকারি টিভির রং মেশানো সংবাদ সরকারকে বিব্রত করেছে এবং শামস এর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। সুতরাং আমি তাদেরও বিচার দাবী করছি।
স্থানীয় আরেক সাংবাদিক আহমাদ সোহান সিরাজি বলেন, যার বড় ভাই রাষ্ট্রের নিরাপত্তা রক্ষায় নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন তার একমাত্র ছোট ভাইকে আজ জোর করে রাষ্ট্রের শত্রু বানানো হচ্ছে এরচেয়ে লজ্জার আর কি হতে পারে? তাকে যেভাবে রাতের অন্ধকারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এতবড় টিম পাঠিয়ে ধরে নেয়া হলো তাতে মনে হয়েছে উনি বিরাট কোন অপরাধী, আপনাদের কাছে প্রশ্ন তিনি কি আসলেই এতবড় কোন অপরাধ করেছে? উনি একজন মাঠপর্যায়ের সংবাদকর্মী হিসেবে শুধু গণমানুষের মুখের কথাই তুলে ধরেছেন এতে যদি কোন অন্যায় হয়ে থাকে তাহলে আমরা দেশের ১৬ কোটি মানুষের সবাই অপরাধী। তাই আমি অনতিবিলম্বে শামসুজ্জামান ভাইয়ের নিঃশর্ত মুক্তি ও গণমাধ্যমকর্মীদের টুটিচেপে ধরা ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিলের দাবী জানাচ্ছি।
উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় নিহত গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম করিমের স্ত্রী উম্মে সালমা আক্তার, শামসুজ্জামানের মামাতো ভাই ফারুক হোসেন, দিপ্ত টিভির প্রতিনিধি এমএ হালিম, সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম সাব্বির, ধামরাই রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আদনান হোসেন, বণিক বার্তার প্রতিনিধি সোহেল রানা, বাংলানিউজের প্রতিনিধি সাগর ফরাজি, ঢাকা মেইলের প্রতিনিধি আহমাদ সোহান সিরাজি ও দৈনিক কালবেলার প্রতিনিধি ইমরান খানসহ স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: