‘ওয়েট অ্যান্ড সি’ প্রথম আলো সম্পাদককে গ্রেফতার প্রশ্নে আইজিপি

প্রকাশিত: ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০৬:১৮ পিএম

সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। রবিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে বের হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। প্রথম আলোর সম্পাদককে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আইনমন্ত্রী কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কি না; জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, ‘দেখেন আপনারা, ওয়েট অ্যান্ড সি।’

তবে বৈঠকে মন্ত্রীর সঙ্গে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের প্রফেশনাল কিছু ইস্যু ছিল। পুলিশ রিলেটেড কিছু বিষয় ছিল। এমন কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। তবে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের বিভিন্ন আইন-কানুন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছে। প্রফেশনাল ইস্যু নিয়ে ডিসকাস করতে এসেছি।’

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ‘এটা আসলে আপনারা মনে করেছেন যে, এ সময়ে এসেছে ঘটনা কী। আমরা আমাদের প্রফেশনাল ইস্যু নিয়ে একটু ডিসকাস্ট করতে এসেছি। কিছু লিগ্যাল ইস্যু আছে, এগুলো নিয়ে কথা বলতে এসেছি।’ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একজন সাংবাদিক গ্রেপ্তার আছেন, সে বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না এটা নিয়ে কোনও কথা হয়নি। এখন এ জিনিসটা বলতে চাচ্ছি না।’

‘এটা আমাদের বিভিন্ন আইন-কানুনে যেমন, আমাদের যে কার্যক্রম আছে সে বিষয়ে আমরা প্রফেশনালি যে আইন বিবেচনাধীন আছে, এসব বিষয়ে আমরা কথাবার্তা বলেছি। ফুললি এটা প্রফেশনাল ইস্যু, এটা অন্যকিছু না।’

এর আগে, গত রবিবার (২৬ মার্চ) স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদনে একজন শ্রমজীবীকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়া কী করুম। বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব।’ এ মন্তব্য ধরেই খবরটির শিরোনাম করা হয়। তবে সামাজিকমাধ্যমে প্রচারিত ফটোকার্ডে ছবি দেয়া হয় আরেকটি শিশুর ছবি, যার কথা প্রতিবেদনের ভেতরে ছিল। এ ঘটনা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। প্রতিবেদনটিতে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ উপাদান থাকার কথাও বলা হচ্ছে।

পরবর্তীতে অবশ্য প্রথম আলো প্রতিবেদনটি থেকে ছবি সরিয়ে শিরোনাম বদলে দেয়। পাশাপাশি সামাজিকমাধ্যমে দেয়া তাদের পোস্টও প্রত্যাহার করে নেয়। এ প্রতিবেদনকে ‘মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, জাতির জন্য মানহানিকর’ তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ ও প্রচারের অভিযোগে বুধবার (২৯ মার্চ) রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয় প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে। সেখানে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানকে ‘হুকুমের আসামি’ এবং নাম উল্লেখ না করে একজন সহযোগী ক্যামেরাম্যান এবং প্রতিবেদনটি প্রচার-প্রকাশের সঙ্গে জড়িত অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: