ফরিদপুরে বিদেশি পিস্তল হাতে মৎস্যজীবী লীগ নেতার ছবি ভাইরাল

প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:৫১ পিএম

ফরিদপুরে এবার বিদেশি পিস্তল হাতে মৎস্যজীবী লীগ নেতার ছবি ভাইরাল হওয়ায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। কোন ভাবেই যেন থামছে না পিস্তল শো-অফ। সম্প্রতি দুই ছাত্রলীগ নেতা ও একজন কলেজছাত্র পিস্তল প্রদর্শন করা ছবি ফেসবুকে দিয়ে আলোচনায় আসেন। এতে জেলাজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। পূর্বের আলোচনা সমালোচনার রেশ কাটতে কাটতেই আবার আলোচনায় জেলা মৎস্যজীবী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান পরশ শিকদার। উদ্বেগে সাধারণ মানুষ, একের পর এক এই অস্ত্রবাজির ছবি যেন থামছে না।

এ বিষয়ে পরশ শিকদার বলেন , তিনি দলের আভ্যন্তরীণ রাজনীতির শিকার। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মৃধা পিকুলের রাজনীতি না করায় তার এই ছবিটি ফেসবুকে ছেড়ে তাকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ছবিটি ফটোশপের কারসাজি নয় বলে স্বীকার করেন পরশ। তিনি আরও বলেন, পাঁচ বছর আগে শাহজাহান মৃধার ভাগ্নে পৌর যুবলীগের নেতা মিনহাজুল আবেদিন চয়নের মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ছবিটি তোলা হয়। চয়নের একজন পরিচিত ব্যক্তি বাড়ির পেছনের খামারে আসা বড় পাখির উপদ্রব ঘটে। সে সময় চয়ন-ই আমাকে তার গাড়িতে করে দামি এয়ারগান কিনতে নিয়ে গিয়েছিল। বন্দুকের শোরুমে আমি বসে ছিলাম। তখন ডিসপ্লে করে রাখা পিস্তলটি দেখিয়ে চয়ন আমাকে বলে, 'মামা এটা একটু উঁচু করে ধরতো, একটা ছবি তুলি। ' এরপর সে মোবাইলে ছবিগুলো তুলে। আরও অনেক ছবি সে তুলেছিল। তবে এতোদিন ধরে এসব ছবি কোথায় কার কাছে ছিলো তাও জানা ছিলো না আমার।

এদিকে অস্ত্র হাতে পরশের ছবি তুলেছিলেন বলে স্বীকার করেন মিনহাজুল আবেদিন চয়ন। তিনি বলেন, ঢাকার পল্টনের একটি আগ্নেয়াস্ত্রের শোরুম থেকে ছবিটি তোলা। পরশ অস্ত্র হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করার সময় আমিই ছবিটি তুলেছিলাম। তারপর ছবিটি অনেকের ম্যাসেঞ্জারে পাঠিয়েছিলাম। হয়তো কারো ম্যাসেঞ্জারে থাকা পুরনো সেই ছবিই কেউ ফেসবুকে ছেড়েছেন। চয়ন আরও বলেন, আমি রাজনীতির সঙ্গে তেমন জড়িত নই। পিকুল মৃধা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আর পরশ মৎস্যজীবী লীগ করেন। তার সঙ্গে রাজনীতি নিয়ে বিরোধের কি আছে?

এ বিষয়ে জেলা মৎস্যজীবি লীগের আহ্বায়ক মো. আব্দুস সোবহান বলেন, পরশ শিকদার অস্ত্রবাজি করে এটি আমি বিশ্বাস করি না। সে হয়তো কারো অস্ত্র হাতে নিয়ে এভাবে ছবি তুলেছে। তবে এই ছবিটি যিনি ফেসবুকে ছেড়েছেন তিনিও হয়তো সুস্থ মস্তিষ্কে কাজটি করেননি। অনেকেই আমাকে ফোন করে জানিয়েছে। বিষয়টি জানার পর আমরা সঠিক ঘটনা জানার চেষ্টা করছি। তদন্তসাপেক্ষে এব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা নেবো।

এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। আপনার মাধ্যমে জানলাম। এখন তদন্ত করে সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: