তিতুমীর কলেজে ছাত্র অধিকারের নেতাকে মারধর

রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক নূর মোহাম্মদ সুমনকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। মারধরের ভিডিও চিত্র মুঠোফোনে ধারণ করায় কলেজ ছাত্র অধিকার পরিষদের নারী সদস্য সুমাইয়া শারমিনকে আটকে রেখে মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়া ও হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে কলেজ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
সোমবার (২৯ মে) দুপুর আনুমানিক আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্র অধিকার সূত্রে জানা যায়, কলেজের শহিদ বরকত মিলনায়তনে তিতুমীর কলেজ আর্টক্লাবের আমন্ত্রণে নায়েক নূর ও তার সাংগঠন ক্লিন এন্ড গ্রীণ ক্যাম্পাসের সদস্যরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে কলেজের মূল ফটকের বাহিরে আসলে কলেজ ছাত্রলীগের উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রিয়াদ মুন্সী সহ আরো বেশকজন কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী নূরের উপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় নূরের উপর বেধরক মারপিট করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। পরে আহত অবস্থায় তাৎক্ষণিকভাবে ভুক্তভোগীকে মহাখালী বক্ষব্যাধী হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। বর্তমানে হামলার শিকার নূর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত রিয়াদ মুন্সীর সাথে কথা বললে অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, "আমি মারধর করিনি। উনি ক্যাম্পাসে ছেলেপেলে নিয়ে ঘুরাঘুরি করছিল, আমার এক বন্ধুর সাথে ঝামেলা করেছে। পরে আমি সুন্দরভাবে বুঝিয়ে বলেছি ভাই ঘুরাঘুরি করিয়েন না, আপনি চলে যান৷ শুধু শুধু ঝামেলা পাকিয়ে লাভ কি। উনি উল্টো আমাকে বলেন, কেন যাব। আমি বললাম ভাই আপনিও মানুষ, আমিও মানুষ। তারপরও সে যাচ্ছে না। উল্টো আমাকে ধাক্কা দিলো।
হেনস্তার শিকার হয়েছে বলে অভিযোগকারী কলেজ ছাত্র অধিকার পরিষদের নারী সদস্য সুমাইয়া শারমিন বলেন, ‘নূরের উপর হামলার ভিডিও করায় আমাকে প্রায় আধা ঘণ্টার মতো আটক করে রাখে। মোবাইল কেড়ে নিয়ে জোরপূর্বোক ভিডিও, ছবিগুলো ডিলিট করানো হয়৷ অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে আমাকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে তারা৷ পরে আমি চিৎকার দিলে আরেক ভাই আমার ফোন নিয়ে ভিডিও ডিলিট করে এবং আমার হোয়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জার সব চেক করছে তারা আমি কাউকে ভিডিও পাঠিয়েছি কিনা। আমি যখন বলি আমাকে আপনারা এভাবে ঘিরে রেখেছেন কেন। তারা বলে তোমাকে তো দিনের বেলা ঘিরে রেখেছি, রাতের বেলা তো রাখিনি। আমি যখন বলি, আপনারা এভাবে কথা বলছেন কেন। তারা বলে, 'ডার্লিং তোমার সাথে আর কিভাবে কথা বলবো।’
বিষয়টি নিয়ে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মায়ের অসুস্থতার জন্য ঢাকার বাহিরে রয়েছেন। কলেজের মারামারির বিষয়টি নিয়ে তিনি অবগত নন। বিষয়ট নিয়ে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করতে বলে।
কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মোড়লের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
ক্যাম্পাসে ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক নূর মোহাম্মদ সুমনকে মারধর করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ ফেরদৌস আরা বেগম বলেন, ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটেছে সেটা এখনো আমি জানিনা। আমার কানে এখনো বিষয়টি আসেনি। তবে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। তবে আমি এ ধরনের ঘটনা সাপোর্ট করছিনা। আসলে এ ধরনের মারামারি হওয়া উচিত না। কিন্তু কেন হয়েছে সেটা আগে আমাকে জানতে হবে। আমার মনে হয়না সেরকম কিছু ঘটেছে।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: