তাপপ্রবাহ আরও কয়েক দিন, বর্ষা কবে জানালো আবহাওয়া অফিস

মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বইছে সারাদেশে। অব্যাহত থাকতে পারে আজও। এছাড়া দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী তিন থেকে চার দিন এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী দুই দিনে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হতে পারে, যা পরের পাঁচ দিনে আরো এগিয়ে আসতে পারে। আগামী মাসের ৬ বা ৭ তারিখের দিকে বর্ষা শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া আজ প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি বা বজ্র বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে আগের দিনের তুলনায় গতকাল মঙ্গলবার স্থানভেদে তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক। বেড়েছে গরমের অনুভূতি। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৪৪টি স্টেশনের কোথাও বৃষ্টির খবর পাওয়া যায়নি। চলমান তাপপ্রবাহ সম্পর্কে এ কে এম নাজমুল হক কালের কণ্ঠকে জানান, তাপপ্রবাহটি আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে। তবে এর মধ্যে দেশের কোনো অঞ্চলে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হলে সেখান থেকে তাপপ্রবাহ কমে আসতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে একেবারে তাপপ্রবাহ কমার মতো পরিস্থিতি এখন নেই। তবে এই সময় তাপমাত্রা এপ্রিলের মতো অস্বাভাবিক রূপ ধারণ করবে না; কিন্তু বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় মানুষের মধ্যে ঘাম ও গরমের অস্বস্তিকর অনুভূতি থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইচডিবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, আগামী ৭ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। জুন মাসের ৮ তারিখ পর্যন্ত দেশের বেশির ভাগ জেলাগুলোর ওপর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা খুবই কম।
তিনি আরো জানান, জুন মাসের ৩ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত মেহেরপুর, যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, জেলায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠার সম্ভাবনা নির্দেশ করছে আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলগুলো।
বর্ষাকাল বা এর প্রভাব সাধারণত জুন মাসের ১ তারিখে শুরু হয় কক্সবাজারে। এরপর এটি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তে মোটামুটি সাত থেকে ১৪ দিন সময় লাগে। তবে এবার বর্ষার শুরুটা পাঁচ থেকে সাত দিন বিলম্ব হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ কে এম নাজমুল হক বলেন, ‘এবার ৬ বা ৭ জুনের দিকে বর্ষা শুরু হতে পারে। কিন্তু পুরো দেশে আবার ছড়িয়ে পড়তে পারে দ্রুত। কয়েক বছর ধরেই বর্ষাকাল শুরু হতে একটু বিলম্ব হচ্ছে।’
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]

পাঠকের মন্তব্য: