ফুলজোর নদীতে নিষ্কাশন বন্ধ ও ক্ষতিপূরণের দাবীতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২৩, ০৪:২৬ পিএম

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সোনকা এলাকায় অবস্থিত মজুমদার ফুড প্রোডাক্টন ও এস.আর কেমিক্যাল ইন্ডাষ্টি এর বিষাক্ত কেমিক্যাল ও বজ্য ফুলজোর নদীতে (নলকা, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ) নিষ্কাশন বন্ধ ও নিষ্কাশনের কারনে নদীর সমস্ত মাছ ও জলজপ্রানী মারা যায় মারা যায় এবং নদীতে ৭০ জন খাচায় মৎস্য চাষীর প্রায় ১৪ কোটি টাকার মাছ মারা যাওয়ায় ক্ষতিগস্ত মৎস্য চাষী ও এলাকাবাসীর ক্ষতিপূরন আদায়ের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার (৩১ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় খাচায় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষী ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে ও রায়গঞ্জ উপজেলার হাটিকুমরুল-বগুড়া মহাসড়কের সাহেবগঞ্জ বাজারে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বগুড়ার শেরপুরের সোনকায় অবস্থিত মজুমদার ফুড প্রোডাক্টন ও এস.আর কেমিক্যাল ইন্ডাষ্টি'র বিষাক্ত কেমিক্যাল ও বজ্য পাইপের মাধ্যমে নিষ্কাশন ও ডামে বজ্য উঠিয়ে গাড়ির মাধ্যমে নদীতে ডাম্পিং করে আসছে। বজ্য নিষ্কাশন ও বিষাক্ত কেমিক্যাম ডাম্পিং করার কারনে নদীর পানির রং নীল বর্ণ হয়ে বিষাক্ত হয়েছে। বিষাক্ত পানির কারনে ৭০ জন চাষীর ২৫'শ খাচায় মাছ সহ নদীর প্রাকৃতিক সকল মাছ মারা গেছে। বর্তমানে নদীতে মানুষতো দূরের কথা জীবজন্তু, হাঁস মুরগি, গরু ছাগল নদীতে নামতে পারে না। নদীত গোসল করার কারনে তীরবর্তী এলাকার মানুষের চর্ম রোগ সহ পানি বাহিত রোগ দেখা দিয়েছে।

বক্তারা আরোও বলেন, ফুলজোর নদীতে বজ্য ও কেমিক্যাল নিষ্কাশনের ফলে শেরপুর থেকে নদীর ৪০ কিলোমিটার দক্ষিনে দূষিত হয়েছে।

নলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কার সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, নলকা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ কাওসার হেসেন, ইউপি সদস্য গাজী আব্দুর রহমান, মৎস্য চাষি শহিদুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান মিঠু, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা মিয়া প্রমুখ।

সলঙ্গা থানা আওয়ামীলীগের সদদ্য আব্দুর রউফ এর পরিচালনাশ মৎস্য চাষি আল মামুন খান, বরত চন্দ্র সাহা, জহুরুল ইসলাম, লোকমান হোসেন, আব্দুল মতিন সরকার, নলকা ইউনিয়নের সাধারন জনগন উপস্থিত ছিলেন। প্রমুখ।

মানববন্ধন শেষে হাটিকুমরুল-বগুড়া মহাসড়কে ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ করে ক্ষতিগ্রস্তরা। ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভে মহাসড়কে সকল গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: