
শরীয়তপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদারের মালয়েশিয়া শুভাগমন উপলক্ষে মালয়েশিয়া শরীয়তপুর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন কতৃক সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
২৬ই মে সন্ধ্যায় মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের জি টাওয়ারের হলরুমে মালয়েশিয়া শরীয়তপুর জেলা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন সভাপতি আতাউর রহমান রানা তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়াস্থ বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা সমিতির সভাপতি জনাব মনিরুজ্জামান মনির ও সাধারন সম্পাদক জনাব এ কামাল হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন তেলোওয়াত ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে সভাপতি আতাউর রহমান রানা তার বক্তব্যে বলেন, খোকা সিকদার শুধু শরিয়তপুরের নয় পুরো বাংলাদেশের গর্ব। তার একান্ত প্রচেষ্টা এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার অনুযায়ী বৃহত্তর ফরিদপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর সহ বৃহত্তর খুলনা বিভাগের মানুষ আজ পদ্মা সেতুর সুবিধা পাচ্ছে।
প্রধান অতিথি খোকা সিকদার তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৮৬ সাল থেকে আমি পদ্মা সেতুর জন্য আন্দোলন করে আসছি, এই আন্দোলন করার কারনে মানুষ আমাকে পাগল বলতো, কেননা এই উত্তাল পদ্মা সেতুর উপর কখনো সেতু তৈরি করা যাবে এটা মানুষের বিশ্বাসের বাইরে ছিল, আমি আশাহত হইনি কখনো আমার বিশ্বাস ছিল, বঙ্গবন্ধুর কন্যা, মমতাময়ী মা জননেত্রী শেখ হাসিনা যে কথা দেন সে কথা যত কষ্ট হক না কেন তিনি তা রাখেন, তিনি কথা রেখেছেন, তিনি লক্ষ লক্ষ মানুষের কষ্ট লাগব করেছেন, নিজের দেশের অর্থায়নে পদ্মা সেতু করে দেখিয়েছেন, তার মৃত্যুর শত বছর ও হাজার বছর পরও মানুষ তাকে মনে রাখবে। আমি প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘয়ু কামনা করছি।
এবং মালয়েশিয়া প্রবাসীদের পাশে সবসময় শরীয়তপুর জেলা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এটা প্রবাসীদের মুখে শুনে আমার খুব ভালো লাগছে, আমি চাই এ সকল গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম চলমান থাকুক। সবশেষে তিনি প্রবাসীদের দলমত নির্বিশেষে এক থাকার পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএম রাসেল, সহ-সভাপতি আবদুল হাই, জাকির হোসেন, আনোয়ার হোসেন টবলু, সোহাগ সিকদার, মফিজুর রহমান আরজু, রহমতুল্লাহ বেপারী, আলি আজগর প্রমুখ।
সর্বশেষ খবর
প্রবাসে বাংলা এর সর্বশেষ খবর