
ছাত্র সমাজের ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদের সামনে আন্দোলনের জন্য অবস্থান নেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদের উপস্থিতি দেখে যুবলীগ নেতা জালাল উদ্দীন রুমি ও মো. আলম তাদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। এতে সেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুর পৌনে ১টার দিকে এ হট্টগোল ঘটে।
এসময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ-প্রকাশ করে বলেন, আমরা এখানে দাঁড়িয়ে থাকতেই পারি। আমাদের হাতে কি অস্ত্র আছে? আমরা সাধারণভাবে দাঁড়িয়ে আছি। এখানে তো অপরাধের কিছুই দেখছি না। আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করার কারো অধিকার নাই।
নারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা অবস্থায় অভিযুক্ত জালাল উদ্দীন রুমি ও আলমকে (পুলিশ বিশেষ শাখার) এক সদস্য সরিয়ে নেয়। একপর্যায়ে নারী পুলিশ সদস্যরা আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থীকে আটক করার চেষ্টা করলে তার সহপাঠীরা পুলিশের হাত থেকে তাকে ছিনিয়ে রাখে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা জালাল উদ্দীন রুমি জানান, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়নি। তাদের বুঝিয়ে বলা হয়েছে, তোমরা এখান থেকে সরে যাও। প্রধানমন্ত্রী তোমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার বলেন, কিছু সংখ্যক নারী শিক্ষার্থী সদর উপজেলা পরিষদের সামনে অবস্থান নিলে, সেখানে হট্টগোল হওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কাউকে আটকরা সম্ভব হয়নি।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর