
সরকারের পতন এবং বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর থেকে গত ২৬ ই আগস্ট হতে ফেনীতে পাসপোর্টের সেবা বেড়েছে। জনগণ ও এ সুবিধা লুফে নিতে হুমড়ি খেয়ে পাসপোর্ট করতে শুরু করেছে। পূর্বের তুলনায় বর্তমানে পাসপোর্ট আবেদন জমা পড়ছে প্রায় দ্বিগুণ। ফেনীর মত একটি ছোট জেলায় পূর্বে পাসপোর্ট প্রতিদিন জমা হতো ২০০ থেকে ২৫০। কিন্তু বর্তমানে সেখানে পাসপোর্ট জমা হচ্ছে প্রায় ৪ শতাধিক প্রায়।
এ বিষয়ে কয়েকজন আবেদনকারীর সাথে কথা হয়। আব্দুল আউয়াল নামে ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের মজলিসপুর গ্রামের এক বাসিন্দা জানান, আজ সকালে পাসপোর্ট করার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছি। এখন কোনো ধরনের এজেন্সির স্বাক্ষরের প্রয়োজন হয় না। এমনকি কোনো ধরনের হয় হয়রানি হতে হয় না। নিয়মিত কাগজপত্র সবকিছু সঠিক থাকলে আমরা পাসপোর্ট আবেদন জমা পড়ছে এবং ছবি তুলে ফিঙ্গার দিয়ে বের হচ্ছি।
একই কথা বলেন ফারজানা আক্তার রুপা নামে লেমুয়া ইউনিয়নের এক বাসিন্দা। তিনি জানান, পূর্বে পাসপোর্ট অফিস সম্বন্ধে অনেক ধরনের মন্তব্য শুনলেও বর্তমানে আসলে সেবার মান বেড়েছে কয়েকগুণ এবং কি যে কেউ এখন ইচ্ছা করলে পাসপোর্ট অফিস ঢুকতে পারবে না। গেটের দারোয়ানরা শুধুমাত্র আবেদনকারীদেরকেই পাসপোর্ট অফিসে ঢুকতে সুবিধা দিচ্ছেন। নিয়মিত লাইনে দাঁড়িয়ে কাগজপত্র সবকিছু ঠিক থাকলে পাসপোর্ট এর ফাইল জমা দিয়ে আমরা ছবি তুলে বের হই। এখন বর্তমানে পাসপোর্ট করতে তেমন কোনো সমস্যা হয় না।
এ বিষয়ে কথা হয় পাসপোর্ট কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ হয়। তারা জানান, সেপ্টেম্বর হতে আমাদের ফেনী অফিস সহ সমগ্র বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট এর আবেদনকারী সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে এবং কি উত্তরাঞ্চলের মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে পূর্বে ৭০ থেকে ৮০ টা পাসপোর্ট জমা হতো সেখানে বর্তমান চার শতাধিক পাসপোর্ট জমা হচ্ছে। এটা আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজ অনেক গুন বেড়ে গিয়েছে। আগে যেখানে আমরা পাঁচটা বাজে অফিস শেষ করে বাসা ফিরতে পারতাম। সেখানে এখন দেখা যায় রাতের আটটায় ও আমরা অ্যাপ্লিকেশন সমূহের স্ক্যানিং করা এবং যাবতীয় জন্য কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় ব্যয়ে করতে হচ্ছে। শুধু এটা একটা জেলা শহরের চিত্র নয় বিভাগীয় এবং বড় শহরগুলোতে পাসপোর্ট আবেদন জমা পড়ছে এর থেকে দ্বিগুণ। পূর্বে নোয়াখালী কুমিল্লা এসব পাসপোর্ট অফিসে আবেদন জমা পড়তো ৫০০ বর্তমানে প্রায় হাজার খানিক আবেদন জামা পরছে। গ্রাহকরা তাদের নির্দিষ্ট পরিমাণ সেবা সকল আবেদন ডকুমেন্ট ঠিক থাকলে সেবা পাচ্ছেন। বর্তমানে সবাই আমাদেরকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছেন।
এছাড়া নাম প্রকাশনী অনিচ্ছুক কয়েকজন পাসপোর্ট কর্মকর্তা জানান, হঠাৎ করে পাসপোর্ট এর আবেদনকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আমরা রীতিমতো একটু চাপ সামাল দিতে কষ্ট হচ্ছে। এরপরেও গ্রাহক সেবা দিতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি মানুষও তাদের সকল সুযোগ সুবিধা পূর্ণাঙ্গক্রমে পাচ্ছেন।
ফেনী পাসপোর্ট অফিস বর্তমানে 'এ' লেবেলে গ্রাহক সেবা দিচ্ছেন। বর্তমানে এখানে ডিপুটি ডিরেক্টর রেতিকা সরকার অফিস প্রধান হিসেবে কাজ করছেন।গ্রাহকসেবা বৃদ্ধির কারণে পূর্বে এখানে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর থাকলেও বর্তমানে ডেপুটি ডিরেক্টর পদের উন্নতি ঘটে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর