
ফেনী সদরের কালিদহ ইউনিয়নের দক্ষিণ গোবিন্দপুর গ্রামে দোকান নির্মাণ সংক্রান্ত ৭ বছরের বিরোধ নিষ্পত্তি হয়।
দক্ষিণ গোবিন্দপুরের একই গ্রামের প্রবাসী মাইন উদ্দিন মাছুম ও নতুন বাজারের ব্যবসায়ী শেখ ফরিদ ছুট্টুর মধ্যে জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলতে থাকে। মাছুমের ঘরের কার্নিশে শেখ ফরিদ ছুট্টুর জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ হলে তারা স্থানীয় আ'লীগ নেতাদের কাছে বিচার প্রার্থী হয়।
বিচার প্রার্থীদের পর হতে তৎকালীন কালিদহের চেয়ারম্যান দিদার, আ'লীগ নেতা মীর হোসেন দুলাল ও কামার ভুঁইয়া বাড়ির করিমুল হকের ছেলে জিয়া এ ঘটনাকে দীর্ঘায়িত করে। বিভিন্ন মাধ্যমে উভয় পক্ষকে হয়রানি ও টাকা দাবি করে।
এ বিষয়ে দোকানের মালিক মাইন উদ্দিন মাছুম বলেন, চেয়ারম্যান দিদার ও মীর হোসেন দুলাল আমার কাছে ১ শতাংশ জায়গা ৪ লক্ষ টাকা দাবি করে। কিন্তু জমির বাজার দর ছিল ২ লক্ষ টাকা। এরপরও আমি টাকা দিবো রাজি হই কিন্তু জমি রেজিস্ট্রি চাইলে তারা আমাকে দলিলে লিখিত দিবে বলে তবে রেজিস্ট্রি করতে রাজি হয়নি।
পরবর্তীতে কামার বাড়ির করিমুল হকের ছেলে জিয়া আমাকে বেপরোয়া মারধর করে। আমার ইট বালু বছরের পর বছর এখানে রাখার কারণে নষ্ট হয়ে যায়। আমি ফেইসবুক লাইভে এ বিষয় একটি ভিডিও প্রচার করলে তা মূহুর্তেই ভাইরাল হয়। পরবর্তীতে এমপি নিজাম হাজারী বিষয়টি মীমাংসার জন্য বললে দিদার আমার কাছে টাকা দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় ৩০/৩৫ জন নিয়ে এমপির কাছে গিয়ে নালিশ করে। পরবর্তী সার্ভেয়ার দিয়ে জায়গা পরিমাপ করলে আমি আমার ঘরের কার্নিশ হতে ছুট্টুর জমিতে আরও ৪ ফুট জায়গার মালিক হই।
বিষয়টি তারা চেষ্টা করলে সহজে মীমাংসা করতে পারতো আমি টাকা দিয়ে জমি ক্রয় করে নিতাম। কিন্তু তারা আমাকে মারধর করেছে এবং আমি কোন বিচার পাই নি।
এ বিষয়ে শেখ ফরিদ ছুট্টু প্রতিবেদককে বলেন, বিষয়টি সার্ভেয়ারের ভুলের কারণে আমরা উভয় পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হই। সার্ভেয়ার প্রথম পরিমাপে তার ঘরে আমার জায়গা পায়। পরবর্তীতে পুনরায় অন্য দুজন সার্ভেয়ার দিয়ে পরিমাপ করলে তিনি আমার জমিতে ৪ ফুট জায়গা পায়। আমার অনেক টাকা লোকসান হয়েছে। এটি আমার ভুল হয়েছে। এখন তার জায়গা তাকে বুঝিয়ে দিয়েছি। আর কোন সমস্যা নেই।
এ বিষয় সমাজের গ্রাম প্রধান জহির ভুঁইয়া এবং মুন্সী সিরাজুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিনের এ বিরোধ সরকার পতনের পর সমাধান হয়েছে। বর্তমানে উভয়ের জায়গা দুপক্ষ বুঝে পেয়েছে। সবাই সন্তুষ্ট রয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ৫ই আগস্টের সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের জিয়া,মীর হোসেন দুলাল এরা পালিয়ে যায়। এদের কারণে দক্ষিণ গোবিন্দপুরে যেকোন সমস্যা সমাধান করা যেতো না। তারা দিদার চেয়ারম্যানের সহযোগিতা দুপক্ষে সংঘাত সৃষ্টি করে চাঁদা চাইত। দাবিকৃত চাঁদা না পেলে বছরের পর বছর সমস্যা গুলো সমাধান হত না। জিয়া মহিপালে ছাত্র হত্যায় জড়িত ছিল। তার নামে মামলা হয়েছে, বর্তমানে জিয়া পলাতক।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর