সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে হিন্দু সসম্প্রদায়ের বাড়িঘর,দোকান ও মন্দিরে হামলার ঘটনায় জড়িত চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দোয়ারাবাজার থানার এসআই আরাফাত ইবনে সফিউল্লাহ বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করে ঘটনার তদন্ত ও অভিযানের মাধ্যমে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন দোয়ারাবাজার থানার মংলারগাঁও (মাস্টারপাড়া) গ্রামের আলীম হোসেন (২০) একই থানার মাঝেরগাঁও গ্রামের সুলতান আহমেদ রাজু (২০),পূর্ব মাছিমপুর গ্রামের এমরান হোসেন (২৬) ও শাহজাহান হোসেন (২১) 

পুলিশ জানায়, গত ৩ ডিসেম্বর দোয়ারাবাজার থানার মংলারগাঁও গ্রামের প্রফুল্ল দাসের ছেলে আকাশ দাস (২০) তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে পবিত্র কোরআন শরীফের একটি পৃষ্ঠার উপর পা রাখা ছবি কমেন্ট করেন। পরবর্তীতে, উক্ত কমেন্টের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্য একটি আইডি থেকে শেয়ার করা হলে বিষয়টি দ্রুত ভাইরাল হয়।

এই পোস্টটি কেন্দ্র করে স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে। অভিযুক্ত ফেসবুক কমেন্টদাতা আকাশ দাসকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতার করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

তবে, আকাশ দাসের বিচারের দাবিতে উত্তেজিত জনতা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। একপর্যায়ে মংলারগাঁও গ্রামের আকাশ দাসের বসতঘর এবং তার আত্মীয় মানিক দাসের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করা হয়।

এছাড়া, মাধব রায়ের রেস্তোরাঁ, লোকনাথ মন্দির এবং বাজারের বেশ কিছু দোকানে ভাঙচুর ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়।

সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার আ. ফ. ম. আনোয়ার হোসেন খান জানিয়েছেন, গ্রেফতারকৃতদের যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও জানান,সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সকল ধর্মীয় সম্প্রীতি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বদ্ধপরিকর। কারো উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে বিভ্রান্ত না হয়ে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানানো হচ্ছে। যে কোনো ধরনের সহিংসতায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সালাউদ্দিন/সাএ