
পোষ্য কোটা বাতিল ও জুলাই আন্দোলনে হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। আগামীকাল ১২টার মধ্যে প্রশাসন এ কোটা বাতিল না করলে আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আরিয়ান বলেন, ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে পোষ্য কোটা নিয়ে আন্দোলন করা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, কর্মকতা-কর্মচারীরা বেঁচে থাকতে তো নানা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেই আবার মৃত্যুর পরও কেন্দ্রীয় কবরস্থানেও সুযোগ পায়। সেখানে তাদের সন্তানদের কোটা দেওয়া কতোটা যৌক্তিক প্রশাসনের কাছে সেটা আমার প্রশ্ন! স্বাধীন বাংলাদেশে কোটার সঙ্গে আপস করা মানে শহিদদের সঙ্গে বেঈমানি করা। তাই প্রশাসনের কাছে দাবি, তারা যেন কোটাহীন সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়তা করেন।
জুলাই অভ্যুত্থানে আহত বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শুভ বলেন, শহিদদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে গড়ে ওঠা প্রশাসন আমাদেরকে চরমভাবে আশাহত করেছে। কেননা তারা স্বাধীন ক্যাম্পাসেও পোষ্য কোটার মতো অমূলক কোটা জারি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোটার বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে আমি একটি চোখ হারিয়েছি, প্রয়োজনে আরো একটি চোখ দেব, তবুও চবিকে পোষ্য কোটা মুক্ত করে ছাড়ব।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, এটা শুধু আমাদের নয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জন্য লজ্জাজনক। জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশেও আমাদেরকে কোটার জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে। যে প্রশাসন শহিদ হৃদয় তরুয়া এবং শহিদ ফরহাদের রক্তের ওপর বসে আছে তাদের কাছে খুনিদের বিচার চাইতে হচ্ছে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই যদি প্রশাসন এখনো বিচারের নামে তালবাহানা করে, শান্তি কমিটির নামে কোন তালবাহানা করে, তাহলে শিক্ষার্থীরা খুনিদের বিচার নিশ্চিত করতে বাধ্য হবে।
বাঁধন/সিইচা/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর