
ফেনী সদরের ছনুয়ায় দেদারসে মাটি কাটছে শেখ ফরিদ নামে এক মাটি দস্যু।প্রতিবছর মাটি কেটে ফসলি জমিকে পুকুরে পরিণত করে ফরিদ।ছনুয়া, লেমুয়া এই দুই ইউনিয়নের অধিকাংশ ফসলি জমির মাটির টাকা এখন ফরিদের পকেটে।
এতে যেমন আবাদি জমির ফলন নষ্ট হচ্ছে একই ভাবে জমির সৌন্দর্য ও নাব্যতা হারাচ্ছে। কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তাগুলোও নষ্ট হচ্ছে ফরিদের মাটির চাকায় পিষ্ট হয়ে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৩ ব্যক্তিকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রোববার (১২ জানুয়ারি) ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার সজিব তালুকদার অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করেন।
এতে পূর্ব ছিলোনিয়া এলাকার মাখন পাল, স্বপন পালকে ৫০ হাজার ও জামাল উদ্দিনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের পূর্ব ছিলেনিয়া গ্রামের মাখন পাল বাড়ীর মাখন পাল ও তার ভাই স্বপন পাল একই এলাকার জামাল উদ্দিনের কাছে ফসলি জমির মাটি বিক্রি করে। জামাল উদ্দিন ঐ ফসলি জমির টপসয়েল কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ফেনী সদর উপজেলা সহকারী ভূমি সজিব তালুকদার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করেন।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজিব তালুকদার জানান, অবৈধভাবে ফসলি জমি থেকে টপসয়েল কাটার অপরাধে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী ৩ ব্যক্তিকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মুচলেকা দিয়ে স্কেভেটর মালিককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বিএনপি নেতাদের যোগসাজশে এমন তাণ্ডব চলছে বলে জানান স্থানীয়রা।একসময় করিমুল্লা বি.কমের ঘনিষ্ঠ ফরিদ এখন টাকার বিনিময়ে বিএনপির সাথে সখ্যতা গড়ে মাটি কাটছে। তবে প্রশাসন ম্যানেজ করে আবারও মাটি কাটতে চাইলে এবার বেঁধে রেখে প্রহার করার ঘোষণা দিয়েছে গ্রামীণ লোকজন। তাদের দাবি 'আওয়ামী লীগ আমলের ফরিদকে এখন তারা ভয় পায় না। ফরিদের পেটুয়া বাহিনী এখন আর কাজ হবে না বলে জানান আসিফ আকবর নামে একজন।
অপরদিকে সাবেক যুবদলের এক নেতা জানান' মানুষের ক্ষতি সাধন হয় এমন কোন কাজ কেউ করার চেষ্টা করলে তাকে প্রতিহত করা হবে।'
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর