
কুপিয়ে জখমের পরে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসা নিতে বাধা এবং স্বজনকে বেধড়ক মারধর করেছেন দুর্বৃত্তরা।
মারধরের শিকার আতিকুর রহমান (৩৮) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে নিরাপত্তাহীনতায় সে সিটে থাকতে পারছেন না।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে আতিকুরের বাবা আমিরুল ইসলাম বাদি হয়ে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (৭ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় তলায় সিঁড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এর আগে, একইদিন সকালে গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের গোলাখালী গ্রামে তার স্ত্রী কনা আক্তারকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষরা। তাকে নিয়ে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসলে পুনরায় হামলার শিকার হয় আতিকুর রহমান। এঘটনায় গলাচিপা ও পটুয়াখালী সদর থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আসামিরা কেউ গ্রেফতার হয়নি।
আহত আতীকুর রহমান বলেন, আমাদের হাঁসের বাচ্চা প্রতিবেশী সজীব শিকদারের বাড়িতে গেছে পিটিয়ে হত্যা করে। এ বিষয়টি জানতে চাইলে আমার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী কনা আক্তারকে কুপিয়ে এবং পিটলে আহত করে সজীব শিকদার, আনোয়ার গাজী, খলীল মাতব্বর ও নাজমুল গাজী। এসময় তাকে উদ্ধার করতে গেলে চাঁচতো ভাই জাহিদ মোল্লা এবং আমাকে মারধর করে তারা। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আমার স্ত্রীকে উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা পটুয়াখালীতে রেফার করেন।
তাকে পটুয়াখালী হাসপাতালে ভর্তি করানোর কিছুক্ষণ পরে অপরিচিত কিছু লোক এসে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে হাসপাতাল ছাড়াতে বলেন । পরে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ৮/১০ জন লোক এসে হাসপাতালের মধ্যে থেকে আমাকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায়। তৃতীয় তলায় সিঁড়িতে নিয়ে আমাকে ব্যাপক মারধর করে তারা। ফ্লোরে ফ্লোরে টানাহেঁচড়া করতে থাকে এবং গলাটিপে হত্যার চেষ্টাও করা হয়।
এতে শরীরের বিভিন্ন জায়গার চামড়া উঠে যায়। এসময় আমার সাথে থাকা টাকা ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে যায় হামলাকারীরা। ডাক চিৎকার করিলে আশেপাশের লোক এসে আমাকে উদ্ধার করে জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে পটুয়াখালী সদর থানায় মামলা করার পরে আরও ক্ষিপ্ত হয়েছে তারা। আমরা হাসপাতালে অনেক আতঙ্কে আছি। হামলার সময় রেজাউল, আলী হোসেন, সেরাজুল ও তোফাজ্জলকে চিনতে পারছি,অন্যদের মুখে মাক্স ছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সজীব শিকদার বলেন, এ ঘটনায় তাদের একজন আহত হয়ে পটুয়াখালী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। হাসপাতালে মারধরের ঘটনায় তারা জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ জানান, হাসপাতালের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর