
বাংলাদেশ পল্লি উন্নয়ন ব্যাংকের বিআরডিবি'র (ইউসিসি) চেয়ারম্যান পদে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় এখনো বহাল রয়েছে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আক্তার হোসেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সারা দেশ থেকে আওয়ামী দোসররা পালিয়ে গেলেও ব্রাহ্মণপাড়ায় দেখা যাচ্ছে উলটো চিত্র। এখানে উপজেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি হয়েও আক্তার হোসেন এখনো বিআরডিবির চেয়ারম্যান পদে বহাল থাকায় জনমনে দেখা দিয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগ সভাপতি আক্তার হোসেন ব্রাহ্মণপাড়ায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় নেতৃত্ব দেন। বিএনপি ও জামায়াতের একটি অংশের ছত্রছায়ায় বর্তমানে বিআরডিবির চেয়ারম্যান পদ আঁকড়ে ধারে রেখেছেন স্বৈরাচারের দোসর আক্তার হোসেন।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিআরডিবির সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২২ নভেম্বর মো. আক্তার হোসেন বিআরডিবির চেয়ারম্যান হন। ২০২৬ সালের নভেম্বরে তার মেয়াদ শেষ হবে।এছাড়াও স্থানীয়রা আরো জানায়,আক্তার হোসেন নামের এক ভূমি দস্যুর অত্যাচারে স্থানীয় এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। জোরপূর্বক ভুয়া দলিল তৈরি, জমি দখল এবং বিভিন্ন অপরাধের মূল হোতা এই আক্তার হোসেন। ব্রাহ্মণপাড়া সদরের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে আক্তার দীর্ঘদিন ধারে এলাকায় ভূমি দস্যুতা চালিয়ে আসছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন যে,আ.লীগ সরকারের আমলে আক্তার জাল দলিল তৈরি করে অসহায় পরিবারগুলোর জমি জবরদখল করছে। তার বিরুদ্ধে উপজেলা ভূমি অফিস, থানা এবং স্থানীয় জনগণের কাছেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসী দাবি করেছেন, আক্তার তার অপরাধের জন্য কোনো বিচার ছাড়াই অবাধে চলাফেরা করছে এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সহায়তায় তার অপরাধের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা হয়েও এখনো বিআরডিবির চেয়ারম্যান পদে বহাল আছেন কীভাবে জানতে চাইলে আক্তার হোসেন বলেন, এখন আমি রাজনীতিতে সক্রিয় না। মেয়াদ শেষ হলে বিআরডিবি চেয়ারম্যান দায়িত্ব ছেড়ে দেব।আমাদের বাপ-দাদার বহু সম্পত্তি রয়েছে,অন্যের সম্পত্তি দখল করে না।
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিআরডিবির কর্মকর্তা মো. রাসেল সারোয়ার বলেন, ৫ আগস্টের পর এখনো বিভিন্ন জায়গায় আগের চেয়ারম্যানরা বহাল আছেন। আইনি জটিলতায় এ পদটি এখনো কিছুই করা যাচ্ছে না। সরকারের নির্দেশনা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর