
৭০ শতাংশ আবাসন ভাতা, বাজেট বৈষম্য দূরীকরণ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে ‘লংমার্চের’ ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
‘লং মার্চ’ কর্মসূচিকে ঘিরে স্থগিত করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের ক্লাস এবং পরীক্ষা। বুধবার (১৪ মে) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস থেকে এ কর্মসূচি শুরু হবে।
এর আগে, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে ‘জবি ঐক্য’ প্ল্যাটফর্ম এ ঘোষণা দেয়।জানা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতার সমন্বয়ে এই ‘জবি ঐক্য’ গঠন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
এর আগে শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে মঙ্গলবার বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি ও শিক্ষক সমিতির সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে জবির বাজেট বৃদ্ধি ও আবাসন সংকট নিরসন বিষয়ে আলোচনা হয়।
তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, যথাযথভাবে দাবি উপস্থাপন করলেও ইউজিসি বরাবরের মতোই দায়সারা আশ্বাস দিয়ে তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে।
এরই প্রেক্ষিতে লং মার্চ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার লং মার্চ কর্মসূচি হওয়ার কথা থাকলেও একদিন এগিয়ে এনে তা বুধবার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, আমরা ইউজিসিতে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের দাবিগুলোর বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট আশ্বাস দেওয়া হয়নি। তারা শুধু বলেছে, মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করবে। এটা আমাদের সঙ্গে প্রতারণা ছাড়া আর কিছু নয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীন মিয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২০ বছরেও ন্যূনতম মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ হয়নি। প্রতিবারই আশ্বাস দিয়ে সময়ক্ষেপণ করা হয়। এবার আমরা আমাদের দাবিসমূহ সরাসরি প্রধান উপদেষ্টার কাছে পৌঁছাতে যমুনা যাচ্ছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা সেখানেই অবস্থান করব।
শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার পর থেকে ফ্যাসিস্ট সরকার এত দিন সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছিল। জবি ঐক্য থেকে ও শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য লংমার্চ ঘোষণা করেছি।’
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবিসমূহ:
১. আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে।
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে হবে।
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, এসব দাবির বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হলে তারা আরও কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেবেন।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর