
চুয়াডাঙ্গায় এবার আমের ভালো ফলন পাওয়ার আসায় বুক বাঁধছে কৃষক। তেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় আমের ভালো ফলন দেখা দিয়েছে।
ইতিমধ্যে আম সংগ্রহের দিন সময় বেঁধে দিয়েছে কৃষি বিভাগ। তাই গাছ থেকে আম সংগ্রহের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কৃষকরা। আমের ভালো দাম পেলে গতবারের লোকশানের ক্ষতি কাটিয়ে উঠবে বলে কৃষকরা জানায়। আগামী ১৫ মে থেকে বাজারে আসতে শুরু করবে চুয়াডাঙ্গার আম।
জানা গেছে, এবার খরা প্রবণের মধ্যেও বিন্দুমাত্র ক্ষতি হয়নি আমে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমের ভালো ফলন দেখা দিয়েছে। আমের বাম্পার ফলনে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। গাছে গাছে ঝুলে আছে বিভিন্ন প্রকার আমের সমারোহ। গতবারের থেকে হিমসাগর, ল্যাংড়া, ফজলি ও আম্রপালি এবং বোম্বায় আকারে আম মোটা হয়েছে। ইতিমধ্যে আম সংগ্রহ করার দিন সময় বেঁধে দিয়েছে কৃষি বিভাগ। আগামী ১৫ মে থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে আম সংগ্রহ করা হবে। এরপর কৃষক পর্যায়ক্রমে গাছ থেকে আম সংগ্রহ করে বাজারজাত করবে। তবে এবার আমের ভালো দামের আসায় আছে আমচাষিরা।
কৃষকরা যদি বাজারে অপরিপক্ব ও ফরমালিন ছিটানো আম বাজারজাত করলে আইনু অনুযায়ী ব্যবস্থার নেয়ার তাগিদ সরকারের। ইতিমধ্যে আম সংগ্রহ করার সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কৃষকরা। ১৫ মে থেকে আম সংগ্রহ শুরু হবে। প্রথম দফায় গুটি ও বোম্বাই জাতের আম নামানো যাবে। এরপর হিমসাগর ২২ মে, ল্যাংড়া ২৮ মে, আম্রপালি ৫ জুন, ফজলি ১৫ জুন, এবং বারি-৪ জাতের আম ২৮ মে থেকে সংগ্রহের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এবার এই জেলায় ২২ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে আমের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৬ হাজার ৭৭৫ মেট্রিকটন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার দিকে জেলায় চলমি মৌসুমের আম সংগ্রহ আনুষ্ঠানিক ভাবে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম উদ্বোধন করবেন।
আমচাষি সবুর আলী বলেন, ‘এবার ভালো ফলন পাবো আমে। কারণ আমে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় আমের ভালো ফলন পাওয়ার আসায় আছি। এবার গুটি কিছু আম ঝড়ে পড়লেও তেমন ক্ষতি হয়নি। কারণ গাছে যা আম আছে তাতে ক্ষতি পুষিয়ে যাবে মনে করি’।
আরেক কৃষক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘গাছে ভালো মতো এবার আম রয়েছে। সরকার যদি নির্ধারিত আমের দাম বেধে দেয়। তাহলে আমের ভালো দাম পাব। এতে ব্যবসা করে লাভবান হতে পারবো। তাছাড়া সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আগামী ১৫ মে থেকে আম সংগ্রহ শুরু করা হবে’।
এ বিষয়ে কথা হলে চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার বলেন, ‘এবার গাছে গাছে প্রচুর আম। গতবছরে যে লোকসান হয়েছে। সেই লোকসান এবার কাটিয়ে উঠতে পারবে কৃষক। কারণ এবার আমের ভালো ফলন হয়েছে। আর অপরিপক্ব আম বাজারে যেন না আসে সেই ব্যাপারে কৃষি বিভাগ কাজ করছে। তবে এবার আমের ভালো দাম যাতে পাই সেজন্য কৃষি বিভাগ কাজ করছে’।
আরমান/সাএ
সর্বশেষ খবর