
নড়াইলের কালিয়ায় মসজিদের ইমামকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরদার বংশ ও শেখ বংশের মধ্যে সংঘর্ষে গোলাগুলির ঘটনা ঘঠেছে।
ঘটনার পর সেনাবাহিনী ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে একটি বৈধ (লাইসেন্সকৃত) শটগান-গুলি ও দেশীয় অস্ত্র জব্দসহ পাঁচজনকে আটক করেছে। শুক্রবার (১৬ মে) উপজেলার হামিদপুর ইউনিয়নের বাবুপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- কালিয়া পৌর এলাকার কুলসুর গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেন সরদারের ছেলে ও সদ্য নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের কালিয়া পৌর শাখার সভাপতি সরদার মুজিবুর রহমান (৭০) এবং তার ছেলে এস এম আরিফুজ্জামান সরদার ওরফ শুভ (৩০)।
এছাড়া অন্যরা হলেন, একই গ্রামের মৃত আনোয়ার সরদারের ছেলে সাইমন সরদার (৩২), মৃত আকরাম সরদারের ছেলে নান্নু সরদার (৫৫) ও হাবিবুর রহমান সরদারের ছেলে সেজন সরদার দ্বীপ (৩৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার ( ১৪ মে) কালিয়া উপজেলার বাবুপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম মুফতি রমজান আলীকে আসরের নামাজের পর মারধর করা হয়, এমন অভিযোগ ওঠে সরদার বংশের রশিদ সরদারের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার জেরে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর মসজিদের ভেতর সরদার ও শেখ বংশের মধ্যে বাগবিতণ্ডা সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরবর্তীতে মসজিদের ভেতরেই সরদার বংশের নান্নু সরদারের নামে ইস্যুকৃত বৈধ (লাইসেন্সডকৃত) শটগান দিয়ে মুজিবুর রহমান সরদার দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। এতে শেখ বংশের হারুন অর রশিদ আহত হন।
আরও জানা যায়, সংঘর্ষের খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে বৈধ (লাইসেন্সডকৃত) শটগান, ও ১৩ রাউন্ড গুলি, ৩টি টেটা, ১টি হকিস্টিক, ৩টি রামদা, ২টি কুড়াল ও ১টি ছুরি জব্দ করে। সদ্য নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের কালিয়া পৌর শাখার সভাপতিসহ পাঁচজনকে আটক করে যৌথবাহিনী।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। একটি লাইসেন্সকৃত শটগানসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর