
বান্দরবানের লামায় আবুল খায়ের টোব্যাকোর অফিসে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে একের পর এক। সর্বশেষ চকরিয়ার সাহারবিল এলাকার ডাকাত রুবেলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৩০ লাখ ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে লামা থানা পুলিশ।
শনিবার (১৭ মে) রাতে চালানো এই অভিযানের মাধ্যমে মোট উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ দাঁড়াল ৫১ লাখ ৮৭ হাজার ২০০ টাকায়।
উল্লেখ্য, গত ৯ মে ভোরে লাইনঝিরি এলাকায় অবস্থিত আবুল খায়ের টোব্যাকোর অফিসে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সশস্ত্র ডাকাতদল ওই সময় অফিসকর্মীদের জিম্মি করে ১ কোটি ৭২ লাখ ৭৫ হাজার ৬৩৮ টাকা লুটে নেয়। ডাকাতরা লোহার সিন্দুক ভাঙার চেষ্টাও করেছিল, যেখানে সংরক্ষিত ছিল আরও সাড়ে ৩ কোটি টাকা, তবে তাতে তারা ব্যর্থ হয়।
ঘটনার পরদিন অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনকে আসামি করে লামা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন- চকরিয়ার পদ্মাছড়া এলাকার মারুফুল ওরফে আরিফ (৩৩), লক্ষ্যাচর ইউনিয়নের নাঈমুল ইসলাম ওরফে সাগর (৩১), লামা পৌরসভার আব্দুর রহিম (৩৬) ও মো. সুজন (২৫), এবং সাবেক বিলছড়ি সিলেটিপাড়ার আনোয়ারা বেগম (৪৫), শাকিলা জান্নাত (২৫), ও শাকিলার স্বামী মো. করিম এবং শ্বশুর ওয়াসির আলী।
আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ পৃথক তিনটি অভিযানে মাটি খুঁড়ে মোট ২১ লাখ ১৭ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করে। ১৫ মে আব্দুর রহিমের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৫০ হাজার ২০০ টাকা। ১৬ মে সন্ধ্যায় ওয়াসির আলীর পাহাড়ি জমি থেকে মাটি খুঁড়ে পাওয়া যায় ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা।
পরদিন, ১৭ মে, করিমের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় আরও ১৮ লাখ টাকা।
এরপর রাতেই ডাকাত রুবেলের বাড়ি থেকে পাওয়া যায় উল্লেখযোগ্য ৩০ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন ও তদন্ত কর্মকর্তা মো. এনামুল হক জানান, গ্রেপ্তারকৃত মো. করিম দক্ষিণ চট্টগ্রামের একটি আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য এবং এই ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে তাকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার ও লুট হওয়া বাকি অর্থ উদ্ধারেও কাজ করছে পুলিশের বিশেষ দল।
সালাউদ্দিন/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর