
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা বলেছেন, নাজরান ফিশারিজ অ্যান্ড এগ্রো বিডি প্রা: লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি প্রতারণার ফাঁদে ফেলে অন্তত ৮০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। এতে নিঃস্ব হয়ে গেছেন প্রায় ১৫ হাজার বিনিয়োগকারী, যাদের অনেকেই জীবনের শেষ সঞ্চয় বিনিয়োগ করেছিলেন।
রোববার (১৮ মে) বিকেলে প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মালেক মিয়া হলে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে আয়োজক ছিল নাজরান বিডি প্রাইভেট লিমিটেডের ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী আন্দোলন ঐক্য পরিষদ।
মূল বক্তব্যে বক্তারা বলেন, “আমরা এখন রাজপথে, আমাদের পুঁজি উদ্ধারের জন্য লড়াই করছি। আমাদের টাকা আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থামবে না।”
তারা আরও জানান, কোম্পানিটির চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মৃধা এবং তার সহযোগী আবুল হোসেন জীবন চৌধুরী, মো. আতাউর রহমান এবং মো. খান আসাদুজ্জামান লাভলু মিলে সাধারণ মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে প্রতারণা করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, চতুর্থ গডফাদার এই চারজন দেশেই আত্মগোপনে আছেন। তারা এমনভাবে মানুষকে মানসিকভাবে প্রভাবিত করতেন যে, অনেক সদস্য জীবনের সমস্ত সঞ্চয় সেখানে বিনিয়োগ করে নিঃস্ব হয়ে পড়েন। এমনকি টাকা হারানোর খবর শুনে কেউ কেউ স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেছেন বলেও জানান ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস.এম. ইকবাল হোসেন, এবং বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে আসার কথা থাকলেও ব্যস্ততার কারণে উপস্থিত হতে পারেননি ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মো. নূরুল হক নূর।
বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এ পর্যন্ত প্রতারকদের বিরুদ্ধে ১০টি জুডিশিয়াল মামলা ও র্যাব-১ এ দুটি প্রতারণার মামলা হয়েছে। অথচ প্রতারকরা বারবার জামিন পাচ্ছে—এটাই সবচেয়ে উদ্বেগজনক।”
তাদের একমাত্র দাবি—প্রতারকদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে টাকা বণ্টন করা হোক। তারা বলেন, “এদের এমন শাস্তি দিতে হবে যেন ভবিষ্যতে আর কেউ মানুষের কষ্টের টাকায় হাত না দেয়।”
আরমান/সাএ
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর