
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের চম্পকলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা চলাকালে ব্ল্যাকবোর্ড ও খাতায় প্রশ্নোত্তর লিখে দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ নিয়ে রবিবার (১৭ মে) বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ঘটনায় বিকেলেই উপজেলা শিক্ষা অফিসার দিলীপময় দাস চৌধুরী ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।
সোমবার (১৮ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা শিক্ষা অফিসার দিলীপময় দাস চৌধুরী বলেন, ভিডিওটি তাঁদের নজরে এসেছে। এছাড়াও এনিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর কেন, কীভাবে এ ঘটনা ঘটল, সে ব্যাপারে তিন কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার ১৩ মে থেকে উপজেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষার প্রথম দিন থেকে উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের চম্পকতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর বোর্ডে লিখে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি অভিভাবকরা পরীক্ষার হলে প্রবেশ করে ছেলেমেয়েদের পরীক্ষার খাতায় উত্তর লিখে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
গত ১৪ মে বুধবার তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষকরা পরীক্ষার হলে ব্ল্যাকবোর্ডে প্রশ্নের উত্তর লিখে দিচ্ছেন ও মুখ দিয়ে বলে দিচ্ছেন এমন একটি ভিডিও একই বিদ্যালয়ের এক অভিভাবক করেন। এসময় পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীর পাশে বসে পরীক্ষার খাতায় উত্তর লিখে দিতেও এক অভিভাবককে দেখা যায়। এমন ভিডিও ওই স্কুলের এক অভিভাবক নিজে করে বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন। বোর্ড থেকে শিক্ষার্থীরা দেখে দেখে ও শুনে উত্তরপত্রে লিখছে।
এমন ভিডিও করার সময় ওই অভিভাবক শিক্ষককে বোর্ডে উত্তর শিখার বিষয়ে প্রশ্ন করলে দায়িত্বরত শিক্ষক জানান, যে সব শিক্ষার্থীরা পারে না শুধু তাদের জন্যই বোর্ডে লেখা হয়েছে। কেন বোর্ডে উত্তর লিখে দিয়েছেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি অফিসে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে বিষয়টি বুঝতে বলেন। এসময় তড়িঘড়ি করে ব্ল্যাকবোর্ড মুছে পরিষ্কার করেন জড়িত শিক্ষকরা।
পরে রোববার দুপুর থেকে ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া এনিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদেও প্রকাশ পায়। ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল সহ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে ওই দিন বিকেলেই উপজেলা শিক্ষা অফিসার দিলীপময় দাস চৌধুরী ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জুড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিসার দীলিপময় দাশ চৌধুরী বলেন, ভিডিওটি তাঁদের নজরে এসেছে। এছাড়াও এনিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর কেন, কীভাবে এ ঘটনা ঘটল, সে ব্যাপারে তিন কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে মনিটরিং জোরদার করা হবে।
আরমান/সাএ
সর্বশেষ খবর