
কোরবানির ঈদ এলেই দেখা মেলে বাহারি নাম ও বিশাল আকৃতির গরুর। এবারও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। গরুটি শান্ত প্রকৃতির, রং কালো। ফ্রিজিয়ান জাতের। নাম রাখা হয়েছে “ব্ল্যাক ডায়মন্ড”।
৩৫ মন ওজনের ফ্রিজিয়ান জাতের “ব্ল্যাক ডায়মন্ড” গরুটি আসন্ন কোরবানির জন্য প্রস্তুত। বিশাল বড় দানবাকৃতির ষাঁড়টি দেখতে খামারে আশপাশের এলাকা থেকে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা। যত্ন আর পরিচর্যায় সন্তানের মতো লালন করা ষাঁড়টি বিক্রির জন্য দাম হাঁকাচ্ছেন ১২ লাখ টাকা। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এবার বাজার মাতাবে নড়াইলের “ব্ল্যাক ডায়মন্ড”।
নড়াইল সদর উপজেলার সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামের মিল্টন হোসেন সিকদারের চিত্রা অ্যাগ্রো ফার্মে কুরবানির জন্য ৫৭টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় ব্ল্যাক ডায়মন্ড। ব্ল্যাক ডায়মন্ড গরুটির বয়স সাড়ে ৪ বছর, ৬টি দাঁত, উচ্চতা ৬ ফুট, দৈর্ঘ্য প্রায় ১১ ফুট, ওজন প্রায় ৩৫ মণ অর্থাৎ ১৪০০ কেজি। ফার্মের এক পাশে আলাদা ভাবে ব্ল্যাকডায়মন্ড কে পরিচর্যা করা হয়। সব সময় ফ্যান লাইট চালিয়ে রাখতে হয়। খাদ্য তালিকায় রয়েছে- শুকনো খড়, কাঁচা ঘাস, ভুট্টা, খেসারি, জবের সংমিশ্রণে তৈরি ভুসি খাওয়ানো হয়। দিনে দুই থেকে তিনবার সাবান শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করানো হয়। ডায়মন্ডের তেজ ও রাগ অনেকটাই বেশি। খামারের কর্মীরা নিজ সন্তানের মত লালন পালন করছেন।
চিত্রা অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক মিল্টন হোসেন সিকদার বিডি২৪লাইভকে বলেন, ‘ব্ল্যাকডায়মন্ডকে আমি সন্তানের মতো লালনপালন করেছি। এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে বিক্রির জন্য তাকে প্রস্তুত করছি। ঈদুল আজহায় আমি বিক্রি করতে চাই। ব্ল্যাকডায়মন্ডের ওজন ৩৫ মণ। এটি ফ্রিজিয়ান জাতের গরু। আমি ব্ল্যাকডায়মন্ডকে বিক্রির জন্য ১২ লাখ টাকা দাম হাঁকাচ্ছি। ভালো খরিদদার পেলে খামার থেকে বিক্রি করে দিবো।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে জেলায় কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা রয়েছে মোট ৫৪ হাজার ৫৮৫টি। এর মধ্যে গরু রয়েছে ২৩ হাজার ২৩৩টি, ছাগল ও ভেড়া রয়েছে ৩১ হাজার ৩৫২টি। চলতি বছর জেলায় কোরবানির জন্য গবাদিপশুর চাহিদা রয়েছে ৪০ হাজার ৫১৬টি। উদ্বৃত্ত থাকবে ১৪ হাজার ৬৯টি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সিদ্ধিকুর রহমান বিডি২৪লাইভকে বলেন,‘ চিত্রা অ্যাগ্রো খামারটিতে একটি বড় গরু আছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। জেলায় ৯টি পশু হাট রয়েছে। প্রতিটি হাটে আমাদের মেডিকেল টিম রয়েছে। আমাদের ৫টি মেডিকেল টিম আছে। মেডিকেল টিমের মূল কাজ হল হাটে গরু এসে যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাদের চিকিৎসা দেওয়া। এছাড়া যদি কোন খামারি অবৈধ উপায়ে গরুকে মোটাতাজা করেন তাহলে সেটি চিহ্নিত করে বাদ দেওয়া।’
আরমান/সাএ
সর্বশেষ খবর