
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন, ঢাবি শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার ও ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্ব দেওয়ার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঢাবি শাখা বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির।
এসময় অতি দ্রুত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না আসলে শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সংগঠনটি। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যার বিচার এবং ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবিও জানায় সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ লিখিত বক্তব্যে বলেন, যদি দ্রুত ডাকসুর একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা না করা হয়, তাহলে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পক্ষে ছাত্রসমাজকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানে মুক্তির সনদ ঐতিহাসিক ৯ দফার অন্যতম ছিল ছাত্রসংসদ নির্বাচন কার্যকর করা। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেই দাবির বিষয়ে অগ্রগতিতে চরম ধীরগতি প্রদর্শন করছে। গত বছরের ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত প্রক্টর বলেছিলেন, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু এখন মে মাস শেষের পথে, তবুও কোনো ইতিবাচক অগ্রগতি চোখে পড়ছে না।
ডাকসু নির্বাচন আয়োজন নিয়ে প্রশাসনের এই ‘রহস্যজনক ধীরগতি ও অবহেলা’র কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন ফরহাদ।
এ সময় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা, সাম্য হত্যার বিচার ও ডাকসু নির্বাচনের ৩টি মৌলিক দাবি পেশ করেন ছাত্রশিবির। দাবিগুলো হলো:- ১. অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া। ২. ক্যাম্পাসে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ৩. সাম্য হত্যার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে আনুষ্ঠানিক ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ।
ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বিষয়ে শিবিরের পক্ষ থেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি তুলে ধরা হয়। তাদের দাবিগুলো হলো:- ১.ক্যাম্পাসে ভবঘুরে ও মানসিক ভারসাম্যহীনদের অপসারণে নিয়মিত অভিযান চালানো। ২.পুরো ক্যাম্পাস এবং প্রবেশপথগুলোতে সিসিটিভির আওতায় আনা। ৩. ক্যাম্পাসের পাঁচটি প্রবেশপথে স্থাপিত সিকিউরিটি ও সার্ভেলেন্স বক্স সংস্কার ও সেখানে নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ ও ৪. প্রয়োজনে প্রক্টরিয়াল মোবাইল টিমের সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ক্যাম্পাসে নিয়মিত টহল।
মুনতাসির/সাএ
সর্বশেষ খবর
ক্যাম্পাস এর সর্বশেষ খবর