সোমবার (২৬ মে) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম  বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২৬ তম নজরুল জয়ন্তী উদযাপন-২০২৫ উপলক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় দিনের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘একজন মানুষ যখন জন্মগ্রহণ করে সে অক্সিজেন পাবে এটা তার প্রাকৃতিক অধিকার। এখানে রাষ্ট্রের সংবিধান বা জাতিসংঘের মানবাধিকার সনদের কোনো ইস্যু নেই। একই সাথে সারা পৃথিবীতে যখন মানুষ চলাচল করে সেটাও তার প্রাকৃতিক অধিকার। এই অধিকার বঞ্চিত হওয়ার কারণেই সারা পৃথিবীতে ধর্মের নামে সংখ্যালঘু নির্যাতন চলছে। 

সর্বশেষ বাংলাদেশে যে ফ্যাসিবাদের ভূত চেপেছিল সেখানেও আমরা প্রাকৃতিক অধিকারের জন্য লড়েছি এবং নজরুল সেখানে অনুপ্রেরণা হিসেবে ছিল। সারা পৃথিবীতে একমাত্র বাংলাদেশের তরুণরাই জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট এবং একনায়কের বিরুদ্ধে সফল হতে পেরেছে। কাজেই নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়কে  নজরুলের আদর্শের প্রতিফলনের পাশাপাশি জুলাই অভ্যুত্থানের গবেষণা এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রাকৃতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রাণকেন্দ্র হতে হবে। জ্ঞান চর্চার পরিবর্তে এখানে কোনো ধরনের ব্যক্তিগত স্বার্থ বা দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক কোনো ধরনের সংঘাত হতে দেয়া হবে না।’ 

এসময় তিনি নারী শিক্ষার অবদান এবং গণতন্ত্রের আপোষহীনতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সম্মানিত করার প্রস্তাব করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি.আর. আবরার। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান এবং নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী।  

মুনতাসির/সাএ