
নসিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় আওয়ামী লীগ নেতার বাবা ও স্বজনদের বাঁধানো কবর ভেকু
মেশিন দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (২৮ মে) বিকেলে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের অনুখা পূর্বপাড়া
কবরস্থানে সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি
চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম হিরো এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলামের বাবা আব্দুল জলিলের কবর গুড়িয়ে দেয় কবরস্থান কমিটি।
এছাড়াও ওই পরিবারের আরও তিনজনের বাঁধানো কবর গুড়িয়ে দেওয়া হয়। কবরগুলো হলো
আব্দুল জলিলের বাবা মরহুম রাজউদ্দিন প্রামানিক, চাচা মরহুম খলিলুর রহমান ও ছোট
ছেলে শহিদুল ইসলাম হিটলারের।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রফিকুল ইসলাম হিরোর বাবা আব্দুল জলিল জাতীয় পার্টির নেতা
এবং রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ৩৩ বছর আগে মৃত্যুবরণ
করেন। অনুখাঁ কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করার পর সেটি বেঁধে দেওয়া হয়। বুধবার
কবরস্থানের গাছের গোড়া উপরে ফেলার নামে চারটি কবর ভেকু মেশিনে গুড়িয়ে দেওয়া
হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম হিরোর মেয়ে আদ্রিতা চৌধুরী সেতু অভিযোগ করে
বলেন, তার বাবা ও চাচা আওয়ামী লীগ নেতা। এই মুহুর্তে তারা আত্মগোপনে রয়েছেন।
দাদা জাতীয় পার্টি করতেন। তারপরও রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত তার কবরস্থান ভেঙে
গুড়িয়ে দেওয়া হলো।
এদিকে আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম হিরো এক ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন,
উনুখাঁ কবরস্থানে আমার বাবা, ছোট ভাই, দাদা ও ছো দাদার বাঁধানো কবর ছিল।
বর্তমান দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আমরা দুই ভাই দূরে অবস্থান করছি আমাদের
সাথে প্রতিহিংসা থাকতে পারে। কবরে শায়িত ব্যক্তিরা কি অপরাধ করেছিল, কবরস্থান
পরিস্কারের নামে কমিটির সভাপতি-সেক্রেটারির হুকুমে কয়েকজন সদস্য ভেকু মেশিন
দিয়ে চারটি বাঁধানো কবর ভেঙ্গে দিয়েছে। আজ আমরা অসহায় কিছু বলার নাই, মহান
আল্লাহ রব্বুল আলামিন তুমি তো দেখছো তোমার কাছে প্রার্থনা যাদের প্রতিহিংসায়
এমন জঘন্যতম কাজ করলো তাঁদের পতন দেখার তৌফিক দান করিও।
এ বিষয়ে কবরস্থান কমিটির সভাপতি সেলিম রেজা বলেন, কবরস্থানের বাউন্ডারি ওয়াল
নির্মাণের জন্য ভেতরের কিছু গাছ ছিল, যেগুলো উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগকে
জানিয়ে যথা নিয়মে কাটা হয়েছে। কিন্তু গাছ কেটে নেওয়ার সময় তারা শিকড়গুলো রেখে
যায়। পরবর্তীতে কবরস্থান কমিটি ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা শিকড়গুলো উপরে
ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। বুধবার ভেকু মেশিন লাগিয়ে শিকড়গুলো উপরে ফেলার সময়
বাঁধাই করা তিন চারটা কবর ভেঙ্গে গেছে। এখানে কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কবর ভাঙা
হয়নি বলে দাবী করেন তিনি।
শুধু মাত্র আওয়ামী লীগ নেতার স্বজনদের কবরই কেন ভেঙে দেওয়া হলো এমন প্রশ্নের
জবাবে তিনি বলেন, সেখানে আর কোন পাকা কবর ছিল না।
সর্বশেষ খবর
জেলার খবর এর সর্বশেষ খবর